নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলে প্রতিনিয়ত বাড়ছে তাপমাত্রা। শনিবার বিকাল ৩টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রচণ্ড রোদ ও অসহ্য গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে সকল প্রাণিকূল অসহায় অবস্থায় রয়েছে।
জেলা সদর হাসপাতালসহ সকল চিকিৎসাকেন্দ্রগুলোতে বেড়েছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। তীব্র তাপদাহে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়ে কাজও করতে পারছেন না তারা। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা মেনে চলতে অনুরোধও করা হয়েছে।
শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভ্যাপসা গরমে মানুষ দাঁড়িয়ে থাকলেও ঘেমে যাচ্ছে। রোদের তীব্রতা বেশি হওয়ায় খুব অল্পতেই মানুষ হয়রান হয়ে যাচ্ছে। ফলে শ্রমজীবী মানুষ সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে। তাদের আয়-রোজগার বন্ধের উপক্রম।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-টাঙ্গাইলসহ দেশের বিভিন্ন জেলা, বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা আগামী কয়েকদিন এ তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এ অবস্থায় দেশব্যাপী শুক্রবার তিনদিনের জন্য সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিকের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ সতর্কতা জারির কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়- দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আরও তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে। পাশাপাশি তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিও বাড়তে পারে বলে জানানো হয়। এছাড়া সারা দেশে হিট আল্যার্ট জারি থাকলেও কিছু স্থানে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
টাঙ্গাইল আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জামাল হোসেন বলেন, শনিবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত জেলার তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২০ শতাংশ। এ রকম পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন থাকবে।
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মো. মিনহাজ উদ্দিন মিয়া বলেন, বিশেষ প্রয়োজন না হলে ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না। পর্যাপ্ত পরিমান পানি পান করতে হবে। বেশি ঘাম হলে ও উচ্চ রক্তচাপ না থাকলে স্যালাইন খাবার পরামর্শ দেন তিনি।