নিজস্ব প্রতিবেদক: “চেহারা নয়, নাম আর কন্ঠ শুনে বন্ধুকে চিনতে হয়েছে” প্রশ্নের উত্তরে জবাব দিয়েছেন বিবেকানন্দ হাইস্কুল এন্ড কলেজের এসএসসি-৭৬ ব্যাচের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক নূরজ্জাহীদ কচি। এভাবেই প্রায় বন্ধুদের খোঁজখবর নিয়ে বিবেকানন্দ হাইস্কুল এন্ড কলেজের এসএসসি-৭৬ ব্যাচের ছাত্ররা দীর্ঘ ৪৮ বছর পর জীবনের প্রথম পুনর্মিলনী উদযাপন করলেন। যা স্কুলের পুনর্মিলনী তালিকায় রেকর্ড।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) টাঙ্গাইল শহরের ঐহিত্যবাহী বিবেকানন্দ হাইস্কুল এন্ড কলেজের এসএসসি ৭৬ ব্যাচ অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের আয়োজনে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল সদর আসনের সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন।
বিবেকানন্দ হাইস্কুল এন্ড কলেজের এসএসসি ৭৬ ব্যাচ অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি নূরুজ্জাহীদ কচি সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শামসুল হকের পরিচালনায় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী, শতবর্ষী বয়সী প্রাক্তন শিক্ষক খলিলুর রহমান। সঙ্গে ছিলেন পচাঁশি বছর বয়সী প্রাক্তন শিক্ষক নিমাই চন্দ্র সরকার ও আব্দুল মান্নান। দিনের শুরুতে অতিথিদের বক্তব্যের পর দুপুরে জুমার নামাজ ও মধ্যাহৃ ভোজের পর সকল বন্ধুদের স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য অনুষ্ঠিত হয়।
বিকেলবেলায় সকল বন্ধুদের উপহার প্রদানের মাধ্যমে আয়োজিত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান শেষ হয়। জানা যায়, বিবেকাননন্দ হাইস্কুলের ১৯৭৬ সালের এসএসসি ব্যাচে ১৮০ পরীক্ষার্থী ছিলেন। পরীক্ষায় ৯১ জন উর্ত্তীণ ছাত্রদের মধ্যে প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে ৬৭ ছাত্র অংশগ্রহণ করেছেন।
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করা ষাটোর্ধ ছাত্রবৃন্দ হলেন নূরজ্জাহীদ কচি, শামছুল হক, আসাদ চাকলাদার, এবিএম আবু বকর সিদ্দিক, গোলাম আজম, মির্জা হাসান তারিক, সনত কুমার ভৌমিক, খন্দকার আবু নাছের আশরাফ তপন, মোঃ আব্দুর রহিম খান, দুলাল ভৌমিক, দেবাশীষ সাহা, আবুল মনছুর, খন্দকার আব্দুল ওয়াহেত মোজাহারুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর হোসেন, আমিনুল ইসলাম আরজু, গোপাল মুন্সী, শহীদুল মোজাহীদ শামীম, প্রদীপ কুমার সাহা, জয়নাল আবেদিন ফারুক, ইসহাক আল হাবিব, ধ্রুব চন্দ্র দাস, আলীমুজ্জাহীদ শাহরিয়ার, আব্দুল্লাহ আল ফারুকুর রহমান মনি, প্রানেশ সাহা, আব্দুর রব রুমি, আব্দুর রশিদ মিয়া, নিত্য গোপাল দাস, মুশফিকুর রহমান লতিফ, সোনা মিয়া, নিজাম উদ্দিন, হেলাল উদ্দিন, আকরম আলী, আমীর হামজা, কায়সার আল, রতন কুমার দাস, আব্দুছ ছবুর, আশাদুজ্জামান খান আইয়ুব, লুৎফর রহমান, নিখিল দাশ, গৌড় হরি সেন, এস এম আব্দুল হালিম, আফাজ উদ্দিন, মজনু মেম্বার, খন্দকার মনিরুজ্জামান, নিমাই চন্দ্র সরকার, সেলিম, শওকত আলী, শ্যামল চন্দ্র সরকার, সৈয়দ আব্দুস সামাদ, বেলাল মিয়া, জাফর হোসেন, আবু আশরাফ, চান মিয়া ও আলীম চাকলাদার প্রমুখ।
বন্ধু পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে ষাটোর্ধ ছাত্ররা জানান, তারা দীর্ঘ ৪৮ বছর পর বন্ধুরা একত্র হতে খুবই আনন্দিত। তারা একত্রে মিলিত হয়ে সেই স্কুল জীবনের স্মৃতিময় দিনগুলিতে কিছু সময়ের জন্য ফিরে গিয়েছিলেন। বন্ধুত্বের বন্ধন শক্ত করতে পঞ্চাশ বছর পূর্তি করতে আগ্রহী। তারা বলেন, ‘মনকে ভালো রাখা মানে স্বাস্থ্যকে ভালো রাখা, বাল্যবন্ধুদের আড্ডায় মনকে ভালো রাখার ঔষধ বিদ্যমান, সেই ঔষধই তাদের জীবনরক্ষার হাতিয়ার’।