নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মোঃ কায়ছারুল ইসলাম বলেন, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সরকার সমন্বিত প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড় পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। ঈদের আগে ও পরে তিনদিন করে মহাসড়কের আমরা কোন ট্রাক চলাচল করতে দিচ্ছি না। মহাসড়কে কোন ধরণের থ্রি হুইলার উঠতে দিচ্ছি না।
রবিবার, ৭ এপ্রিল সকালে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব টোলপ্লাজা এলাকায় এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক মোঃ কায়ছারুল ইসলাম এসব কথা জানান।
তিনি আরও বলেন, মহাসড়কে কোন ধরণের দুর্ঘটনা ঘটলে সেই যানবাহনগুলো অপসারণের জন্য আমরা রেকার স্ট্যান্ডবাই রেখেছি। নিরবিচ্ছিন্ন টোল প্লাজা চালু রাখার জন্য জনবলসহ সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও সেতুর উপরে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটলে সে বিষয়েও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সব মিলিয়ে বলা যায়, এবারের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন হবে। মানুষ স্বস্তিতে ঘরে ফিরতে পারবে।
এছাড়াও জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বিপিএমসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তারা সকাল থেকে মহাসড়কের ঘারিন্দা, রাবনা, রসুলপুর, এলেঙ্গা, সল্লা, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড়ের টোল প্লাজা ঘুরে কোথাও কোন যানজট দেখতে পাননি।
এদিকে, ঈদের ছুটিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক হয়ে বাড়ি ফিরছে উত্তরাঞ্চলের মানুষ। অন্যান্য বছর ঈদযাত্রায় এই সড়কে লাখ লাখ মানুষ ভোগান্তি পোহালেও এ বছর এখন পর্যন্ত স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে ঘরমুখো মানুষ।
অপরদিকে, যানজট না হওয়ার কারণ হিসেবে পুলিশ, চালক ও যাত্রীরা বলছেন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সড়ক বিভাগ ও সেতু কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সমন্বয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। গাজীপুরের ভোগড়া থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত চারলেনের সুবিধা পাচ্ছেন ঘরমুখো মানুষ। এবারের ঈদে পূর্বের চেয়ে বেসরকারি ছুটি বেশি।
এছাড়া, যানজট এড়াতে রাতে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্তের সংযোগ সড়ক একমুখি করে দেওয়া হয়েছে। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যানবাহন চার লেনের সড়ক দিয়ে দ্রুত কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পর্যন্ত চলে আসতে পারে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গ থেকে আসা যানবাহন সেতু পার হওয়ার পর ভূঞাপুর হয়ে বিকল্প রাস্তায় এলেঙ্গা পর্যন্ত চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।