মির্জাপুর প্রতিনিধি: মির্জাপুর উপজেলায় মাটিভর্তি ডাম্পট্রাকের ধাক্কায় বিদ্যুৎচালিত অটোরিকশার চালকসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এঘটনায় পাঁচযাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- অটোচালক এ উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের চান্দুলিয়া গ্রামের শফিউদ্দিনের ছেলে তোফাজ্জল হোসেন (৩৫) ও গোড়াই ইউনিয়নের দেওহাটা বাকালী পাড়ার রতন বাকালীর ছেলে সুশান্ত বাকালী (৩৩)। সুশান্ত বাকালী গোড়াই কমফিট কম্পোজিট নিট লিমিটেড কারখানায় প্রিন্টিং শাখায় কাজ করতেন।
আহতদের মধ্যে দুইজনকে জেলার কুমুদিনী হাসপাতালে এবং তিনজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের দিঘলিয়া গ্রামের শওকত হোসেন (৪৫), তার স্ত্রী লাকি বেগম (৩৫) ও নয় বছরের শিশুকন্যা মরিয়ম আক্তার এবং বগুড়ার সারিয়াকান্দি এলাকার আমিনুল ইসলাম (৩২)কে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। আহত একজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। শিশু মরিয়ম ছাড়া সবাই গোড়াই এলাকার কমফিট কম্পোজিট নিট লিমিটেড কারখানায় কাজ করতেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কারখানায় কাজ শেষে বিদ্যুৎচালিত অটোরিকশাযোগে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সার্ভিস লাইন দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় গোড়াই নাজিরপাড়া নামকস্থানে পৌঁছালে পেছন দিক থেকে আসা মাটিভর্তি একটি ডাম্পট্রাক অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোচালক তোফাজ্জল হোসেনের মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানে সুশান্ত বাকালীর মৃত্যু হয়। আহত পাঁচজনকে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে শওকত হোসেন (৪৫), তার স্ত্রী লাকি বেগম (৩৫) ও নয় বছরের শিশুকন্যা মরিয়ম আক্তারের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।
এ বিষয়ে গোড়াই হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম জানান, ডাম্পট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার চালকসহ দুইজন মারা গেছেন। এছাড়া আহতদের মধ্যে তিনজনকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। দুইজন কুমুদিনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘাতক ট্রাকটি আটক করতে পুলিশ কাজ করছে বলে তিনি জানান।