টাঙ্গাইলে রমজান উপলক্ষে শিশুদের জন্য ফাউন্ডেশনের ১০ টাকায় ৬ পন্য বিক্রি!

টাঙ্গাইল সদর ফিচার সংগঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষপত্রের দাম বৃদ্ধির কারণে মানুষজনের যেখানে দীর্ঘশ্বাস সেখানে টাঙ্গাইলের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শিশুদের জন্য ফাউন্ডেশন ১০ টাকায় সুবিধা বঞ্চিত হতদরিদ্রদের মাঝে ৬ প্রকার পণ্য বিক্রি করছে।

 

 

 

সোমবার, ১১ মার্চ দুপুরে রমজান উপলক্ষে টাঙ্গাইল জেলা সদরের বস্তিতে শতাধিক পরিবারকে ১০ টাকায় এক কেজি চাল, আধা কেজি ডাল, আধা লিটার সয়াবিন তেল, মুড়ি এক কেজি, ছোলা আধা কেজি ও পেঁয়াজ আধা কেজি কিনে নিচ্ছেন সুবিধা বঞ্চিত ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা। রমজানে সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে এ পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

জানা যায়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে সুবিধাবঞ্চিত ও স্বল্প আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে রমজান উপলক্ষে মাত্র ১০ টাকায় পণ্য বিক্রি করার উদ্যোগ নেয় শিশুদের জন্য ফাউন্ডেশন সংগঠনটি। ৬টি পণ্য ১০ টাকা করে নেওয়ার সুযোগ পায় একটি পরিবার।

জেলা সদর বস্তির বাসিন্দা সামিয়া আক্তার বলেন, বাজার থেকে বেশি দাম দিয়ে এতোগুলো পণ্য আমরা কিনতে পারতাম না। রমজান উপলক্ষে কম দামে পণ্য কিনতে পেরে আমরা খুশি। এতে আমাদের অনেক উপকার হয়েছে।

একই বস্তির আরেক বাসিন্দা তাসলিমা আক্তার বলেন, বর্তমানে বাজারে সব কিছুর দাম বেশি। এই পরিস্থিতে আমরা ৬০ টাকা দিয়ে ছয়টি পণ্য নিতে পেরেছি এতে আমাদের অনেক উপকার হলো। স্বামী সন্তান নিয়ে কিছুদিন ভালোভাবে রোজা করতে পারবো। আয়োজকদের কাছে দাবি এমন আয়োজন মাঝে মাঝে করা হোক। আমরা অসহায় মানুষরা ভালোভাবে বাঁচতে পারবো।

শিশুদের জন্য ফাউন্ডেশনের সদস্য আহসান হাবিব বলেন, আমি চার বছর ধরে এ সংগঠনের সাথে রয়েছি। লেখাপড়ার পাশাপাশি আমরা এ কাজে নিয়োজিত রয়েছি। নিম্নআয়ের মানুষদের তৃপ্তি দেখে আমরাও খুশি। রোজার সময় ইফতারের আয়োজন করা হবে।

শিশুদের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মুঈদ হাসান তড়িৎ বলেন, বর্তমান সময়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম অনেক বেশি। রোজার মধ্যে এর দাম কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়। রমজান মাসে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কষ্ট কিছুটা লাঘব করার জন্য এমন আয়োজন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে বড় পরিসরে এমন আয়োজন করা হবে। ঈদ উপলক্ষে ১০ টাকার মূল্যে ঈদ বাজারের আয়োজন করার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, সমাজের বিত্তবানরা সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে এগিয়ে আসলে দরিদ্র এসব মানুষের খাবারের অভাব হবে না। আমাদের এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *