ঘাটাইলে মোটরসাইকেলের জন্য ওয়ার্কশপ কর্মচারীকে হত্যা

অপরাধ আইন আদালত ঘাটাইল ফিচার

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘাটাইলে মোটরসাইকেল নেওয়ার জন্যই ওয়ার্কশপ কর্মচারী নাহিদকে হত্যা করা হয়। হত্যাকারীকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে এমন স্বীকারোক্তি দিয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ সুপার মো. শরফুদ্দীন।

 

 

 

সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার শরফুদ্দীন প্রেস ব্রিফ্রিং করে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ঘাটাইল উপজেলার কামারচালা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সোহাগ (১৫), নিয়ামতপুর গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে নাজমুল (২০), কামারচালা গ্রামের আবুল হোসেনের স্ত্রী খাদিজা (৩৩), নলমা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে সালমান জাহান জান্নাত (২১) এবং জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তরুনীআটা গ্রামের ফজলুল হক। এ সময় লুণ্ঠিত মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার শরফুদ্দীন বলেন, গত ২২ ফেব্রুয়ারি ঘাটাইল উপজেলায় মনির ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপের ভেতর থেকে নাহিদ হাসান নামে এক কর্মচারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এসময় হত্যাকারীরা একটি মোটরসাইকেল নিয়ে যায়। পরে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার প্রধান আসামি হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত সোহাগ যাত্রাবাড়ীর কদমতলী এলাকা থেকে রোরবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্য মতে অপর আসামি নাজমুলকে গোলাবাড়ি বাস স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। নাজমুলের দেওয়া তথ্য মতে খাদিজাকে গ্রেপ্তার করা হয়। খাদিজার দেওয়া তথ্য মতে অন্য দুই আসামিকে গ্রেপ্তার হয়।

জানা যায়, সোহাগ মোটরসাইকেলের জন্য নাহিকে হত্যা করে। এ হত্যা মামলার আসামি সোহাগ কথিত খালাতো ভাই ছিল নাহিদের। ঘটনার দিন তাদের ওই ওয়ার্কসপের পাশে দেখা যায়।

তিনি আরও বলেন, সোহাগকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে জানায় নাহিদ আমার খালাতো ভাই হয়। তার মূল পরিকল্পনা ছিল এই মোটরসাইকেল নেবে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী নাহিদকে হত্যা করে মোটরসাইকেল নিয়ে যায়। এই মোটরসাইকেল সরানোর জন্য সহযোগিতা করেছে সোহাগের মা খাদিজা। গ্রেপ্তারকৃতদের জবানবন্দির জন্য টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *