টাঙ্গাইলে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন

ইতিহাস ও ঐতিহ্য টাঙ্গাইল সদর দিবস ফিচার

এ. এম. ইকবাল, স্টাফ রিপোর্টার: টাঙ্গাইলে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে।

 

 

দিবসের প্রথম প্রহরে টাঙ্গাইল শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় শহীদ মানুষের ঢল নামে। কিন্তু কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতিশ্রদ্ধা জানানো ফুলের তোড়া ও পুষ্পস্তবক দুপুরের দিকে শহীদ মিনারের বেদী থেকে সরিয়ে নিয়েছে টাঙ্গাইল পৌরসভা। মাত্র এক ঘন্টার মধ্যেই শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর সকল ফুলগুলো সরিয়ে নেয়া হয়। এতে করে জেলায় মুক্তিযোদ্ধা ও সকল স্তরের মানুষের মধ্যে সমালোচনার ঝড় বইছে।

বুধবার প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনসহ স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রথমে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে প্রথম প্রহরে ও সকালে বিভিন্ন সরকারি-বেসকারি সংস্থা, রাজনৈতিক দল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন সংগঠন শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। পর্যায়ক্রমে বুধবার বেলা ১১টা পর্যন্ত চলে শহীদ বেদীতে শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো কার্যক্রম। কিন্তু দুপুর ১২টার দিকে টাঙ্গাইল পৌরসভার ময়লার গাড়ি এসে শহীদ মিনারের পাশে দাঁড়ায়। এ সময় পৌরসভার কয়েকজন কর্মচারীরা গণমানুষের দেয়া শ্রদ্ধাঞ্জলির ফুলের তোড়া শহীদ বেদী থেকে তুলতে থাকে। ফুলের তোড়াগুলো তুলে তারা পৌরসভার ময়লার গাড়িতে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এতে এক ঘণ্টার মধ্যেই শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানো ফুলগুলো সরিয়ে নেয়া হয়।

এ বিষয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারাসহ নাগরিক-সমাজ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে। মহান ভাষা আন্দোলনে আমরা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছি। কিন্তু টাঙ্গাইল পৌরসভা এমন অবিবেচক হলো কিভাবে, যে তারা কয়েক ঘন্টার মধ্যেই শহীদ বেদীর ফুল তুলে ময়লার গাড়িতে নিয়ে গেল। সকাল ১১টা পর্যন্ত তো নানা শ্রেণির মানুষ শ্রদ্ধা জানিয়েছে। তাহলে ১২টার মধ্যেই নিতে হবে। এতে করে শহীদদের প্রতি চরম অবমাননা করা হয়েছে। রাজনৈতিক দলের একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে মেয়র কিভাবে এমন অন্যায় কাজ করতে পারেন।

বিষয়টি একটু ভুল হয়েছে স্বীকার করে টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস. এম সিরাজুল হক আলমগীর বলেন, ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঘটবে না। এ বিষয়ে আমরা সচেতন থাকবো। বরাবরের মতো এ বছরও দুপুরের আগেই ফুলগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে বিকালের পর অপসারণ করা হলে ভালো হতো বলে তিনি জানান।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *