নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের চেয়েও এ নির্বাচন খারাপ হয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে খুবই আশাবাদী ছিলাম। আমি বিশ্বাস করেছিলাম একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় ২০১৮ সালের নির্বাচন গুণমান সম্পন্ন ছিল না। ২০২৪ সালের নির্বাচন তার চেয়েও খারাপ হয়েছে। সেবার তাও কিছু মানুষ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়েছে। এইবার সেই পরিমাণ মানুষ ভোটকেন্দ্রে যায় নাই, ভোট দেয় নাই, ভোট দিতে পারে নাই।
মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে মিট দ্য প্রেসে তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেন, ১৮ সালের নির্বাচনে তবুও কিছু লোক ভোটকেন্দ্রে গিয়েছিলেন। ভোট দিয়েছিলেন। এবার সেই পরিমাণ লোকও ভোটকেন্দ্রে যাননি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানুষ উৎসাহ পানি তাই ভোট দিতে যাননি। সাধারণ ভোটারদের ৫ শতাংশও ভোট দিতে যায়নি।
তিনি আরো বলেন, আমি নির্বাচনে হেরেছি। প্রকৃতই যদি হেরে থাকি তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানও হেরেছেন। রাজনৈতিকভাবে বঙ্গবন্ধুর অনুসারী কাদের সিদ্দিকীর আগে একজনও নেই। পরে আছে কিনা বলতে পারবো না। এ পরাজয় যদি সঠিকভাবে হয়ে থাকে তাহলে এটা মুক্তিযুদ্ধের পরাজয়, মুক্তিযোদ্ধাদের পরাজয়। মানুষ মুক্তিযুদ্ধ চায় না অথবা মুক্তিযোদ্ধাকে চায় না। যদি ধরে নেওয়া হয় নির্বাচনে আমরা সত্যিকারভাবে হেরেছি। তাহলে মানুষ এসব কিছু থেকে মুখ সরিয়ে নিয়েছে। আর যদি এটাকে ইঞ্জিনিয়ারিং বলা হয়, কারচুপি বলা হয়, ডাকাতি বলা হয় তাহলে সেটা অন্য জিনিস।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, সরকার ভোটের আগেও স্বস্তিতে ছিল না। আগামী দিনগুলোতেও খুব একটা স্বস্তিতে থাকতে পারবে না। আমি নির্বাচন করেছি অনিয়ম হয়েছে কিন্তু কথা হলো চোরের বিচার চোরের কাছে দিব নাকি, তাই কোথাও অভিযোগ দেইনি।
উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী প্রায় ২৯ হাজার ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অনুপম শাহজাহান জয়ের (৯৬ হাজার ৪০১ ভোট পেয়ে জয়ী) কাছে হেরে যান। গত রোববার টাঙ্গাইলের সখীপুরে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের এক কর্মিসভায় তিনি দাবি করেন সরকার ভিন্ন কৌশলে ভোট নিয়ে তাঁকে হারিয়ে দিয়েছে।
এসময় টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক সালেক হোসেন হিটলু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফরিদ আহমেদ ও জেলা যুব আন্দোলনের সভাপতি আতিকুর রহমান সাদেকসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।