নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইল-৩ ঘাটাইল আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ডা. কামরুল হাসান খানের কর্মীদের মারধর, বাড়ী-দোকানপাট ভাংচুর, অগ্নি সংযোগ ও হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া, এ আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী আমানুর রহমান খান রানার সমর্থকরা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছেন।
মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারি দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন ডা. কামরুল হাসান খান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী আমানুর রহমান খান রানা বিজয়ী হয়। পরবর্তীতে তার সন্ত্রাসী বাহিনী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী সমর্থকদের উপর হামলা, সমর্থকদের মারধর, দোকানপাট ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ করে। সোমবার রাত পর্যন্ত আমাদের শতাধিক নেতাকর্মীদের মারধর করে আহত করা হয়েছে। যার মধ্যে কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। রামদা দিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে। নিরন্তর আমাদের নেতা কর্মীদের ভয়-ভীতির মধ্যে রেখেছে। নৌকায় ভোট দেওয়ার কারনে দেড় হাজার নেতাকর্মী বাড়ী ছাড়া রয়েছে। তারা পার্শ্ববর্তী উপজেলা মধুপুর, গোপালপুর, ভালুকা, সখীপুর, ধনবাড়ী, ঢাকায় প্রাণ বাঁচানোর জন্য অবস্থান নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সহিংসতার সংবাদে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তড়িৎ ব্যবস্থা নিয়েছে। পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে তৎপর রয়েছে। নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার জন্য দায়ী সন্ত্রাসী অপরাধীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম লেবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম মিয়া, সাবেক পৌর মেয়র শহিদুজ্জামান খান শহীদ, জামুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হেসটিংস, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হেকমত সিকদার, আবুল হোসেন, রহিমা খাতুনসহ বেশ কয়েকজন নির্যাতিত ভুক্তভোগী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।