কালিহাতী প্রতিনিধি: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, নৌকার বাইরে ট্রাক, ছাতা, ঈগল এগুলো কোনো মার্কা না। নৌকা ছাড়া অন্য কোনো মার্কার অস্তিত্ব নেই। ঐতিহ্যবাহী কালিহাতীর মানুষ সারা জীবন আওয়ামী লীগ, নৌকা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন। আসন্ন নির্বাচনেও তাঁরা বিপুল ভোটে নৌকাকে বিজয়ী করবেন। শেখ হাসিনার উন্নয়নের অগ্রগতি অব্যাহত রাখবেন।
নির্বাচনী প্রচারণার শেষ মুহূর্তে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের নৌকার নির্বাচনী জনসভায় এসব কথা বলেন ড. আব্দুর রাজ্জাক। এ আসনে প্রথমবারের মতো নৌকার প্রার্থী কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোজহারুল ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু। অপর দিকে এ আসনে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর বহিষ্কৃত সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
উপজেলার এলেঙ্গা সরকারি শামসুল হক কলেজ মাঠে মোজহারুল ইসলাম তালুকদার ঠান্ডুর জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এই নৌকা মাওলানা ভাসানীর নৌকা, বঙ্গবন্ধুর নৌকা, শেখ হাসিনার নৌকা, উন্নয়নের নৌকা। কোনো ষড়যন্ত্রের দিকে না তাকিয়ে নৌকাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে। দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে দেখেছি, অনেক সূর্য ও নক্ষত্রের পতন হয়েছে। আমরা দেখেছি অনেক বড় বড় নেতা মশাল নিয়ে আলোকিত করতে চেয়েছেন, কেউ কেউ নীতি-আদর্শ বিসর্জন দিয়ে ধানের শীষ নিয়েও নির্বাচন করেছেন। কিন্তু তাঁরা কেউই জনগণের মন জয় করতে পারেন নাই। দেশের শান্তি ও উন্নয়ন চাইলে হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিষ্টান সবাই মিলে শান্তিতে থাকতে হলে নৌকার কোনো বিকল্প নাই। আবার যদি জামায়াত-শিবির তাদের ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নৌকাকে পরাজিত করতে পারে, তাহলে দেশের মানুষের ভাগ্যে আবার দুর্দশা নেমে আসবে।’
কৃষিমন্ত্রী ভোটারদের উদ্দেশে আরো বলেন, ‘আপনারা হাত তুলে শপথ নিন, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে প্রার্থী মোজহারুল ইসলাম তালুকদারকে এমপি নির্বাচিত করে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করবেন।’
এলেঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তুলার সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আনিসুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুভাষ সাহা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মোল্লা, কালিহাতী পৌরসভার মেয়র নুরন্নবী সরকার, দশকিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মালেক ভূঁইয়া, গোহালিয়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হাই আকন্দ, সল্লা ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল আলীম, নারান্দিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ তালুকদার, দুর্গাপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন প্রামাণিক, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মোল্লা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক আবদুল লতিফ মোল্লা, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।
এ আসনে আরেকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী সারওয়াত সিরাজের প্রতীক ঈগল। তিনি এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির সাবেক মন্ত্রী শাজাহান সিরাজের মেয়ে। জানা গেছে, নৌকার সঙ্গে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ট্রাক ও ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর।
টাঙ্গাইল-৪ আসনে এই তিন প্রার্থী ছাড়া আরও ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন জাতীয় পার্টির লিয়াকত আলী (লাঙ্গল), তৃণমূল বিএনপির শহিদুল ইসলাম (সোনালী আঁশ), সুপ্রিম পার্টির শুকুর মামুদ (একতারা), জাতীয় পার্টির (জেপি) সাদেক সিদ্দিকী (বাইসাইকেল) ও জাকের পার্টির মোন্তাজ আলী (গোলাপ ফুল)।