নিজস্ব প্রতিবেদক: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আজকে বিভিন্ন জায়গায় আমাদের প্রার্থী আছে, সেই জন্য আমরা নির্বাচনকে উন্মুক্ত করে দিয়েছি। ‘আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দিবে’, এটা আমাদের শ্লোগান। কাজেই আপনাদের পছন্দমতো প্রার্থীকে আপনারা ভোট দিবেন। কিন্তু কোন গন্ডগোল আমি চাই না। সহনশীলতা আপনাদের দেখাতে হবে। কোন রকম দ্বিধাদ্বন্দ্ব যেন না থাকে।
বুধবার, ৩ জানুয়ারি দুপুরে টাঙ্গাইল পৌর উদ্যানে আয়োজিত ভার্চুয়্যাল জনসভায় গণভবন থেকে সরাসরি উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, নির্বাচনে যার যার ভোট সে শান্তি মতো দিবে, সেই পরিবেশটা আমাদের রক্ষা করতে হবে। মনে রাখতে হবে, এই নির্বাচনটা বাংলাদেশের জন্য একান্তভাবে জরুরী, কারণ বাংলাদেশ নিয়ে তো অনেক রকম খেলা অনেকে খেলতে চায়। যারা স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী না, জয় বাংলা শ্লোগান নিষিদ্ধ করে দেয়, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ যারা নিষিদ্ধ করে দেয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যারা ধ্বংস করে, তারা দেশটাকেই ধ্বংস করবে। তারা এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে। কাজেই দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে যেন কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে মানুষ তার ভোটের অধিকার প্রয়োগ করবে। যার যার নিজের ইচ্ছায় যার যাকে খুশি ভোট দিবে। কেউ কাউকে বাঁধা দিতে পারবেন না।
তিনি আরো বলেন, আমি চাই সত্যিকারভাবে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে, যে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ তার পছন্দ মতো প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে। সেটাই আমাদের লক্ষ্য। যা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে একটা মাইলফলক হয়ে থাকবে, আর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রা সুগম হবে।
এর আগে সকাল থেকেই টাঙ্গাইলের আটটি সংসদীয় আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও নেতাকর্মীরা সভাস্থলে আসতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের আগেই পৌর উদ্যান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পরে টাঙ্গাইলের শিল্পীদের পরিবেশনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপভোগ করেন তিনি।
এর পরে তিনি তরুণ প্রজন্মের নতুন ভোটারদের সাথে কথা বলেন এই ভার্চুয়্যাল কনফারেন্সের মাধ্যমে।
নতুন ভোটার ইডেন কলেজের ছাত্রী জেবুন্নাহার শীলা প্রধানমন্ত্রীর কাছে টাঙ্গাইলকে ঘোষিত সাংস্কৃতিক নগরী বাস্তবায়নের জন্য দাবি জানান। এসময় তিনি টাঙ্গাইলের চরাঞ্চলের রাস্তাঘাটের উন্নয়নসহ বিভিন্ন উন্নয়নের জন্য ধন্যবাদ জানান। এসময় তিনি টাঙ্গাইল পৌরসভাকে সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত, ইপিজেড নির্মাণ, টাঙ্গাইল শাড়ির বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়নের দাবি জানান।