কালিহাতী প্রতিনিধি: কালিহাতী উপজেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক প্রতীক) কর্মী-সমর্থদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় কালিহাতী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাদী হয়ে কালিহাতী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারি বিকালে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের পটল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে। লাঞ্ছিত সাংবাদিকরা হলেন- স্থানীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোল্লা মুশফিকুর রহমান মিল্টন, মেহেদী হাসান চৌধুরী মৃদুল ও হারুণ-অর-রশীদ।
জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের পটল বাজারে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক প্রতীক) আবদুল লতিফ সিদ্দিকী নির্বাচনী জনসভা করেন। সভা শেষে স্থানীয় কর্মীদের মধ্যে টাকা ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষের সময় আনন্দ টিভির বিশেষ প্রতিনিধি মেহেদী হাসান চৌধুরী মৃদুল ও বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার পত্রিকার প্রতিনিধি হারুন-অর-রশীদ ছবি তুলেন। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের উপর আক্রমন করে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এ সময় কালিহাতী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোল্লা মুশফিকুর রহমান মিল্টন বাঁধা দিতে গেলে তাকেও লাঞ্ছিত করা হয়। লাঞ্ছিতকারীদের মধ্যে মোঃ মাসুদ (৩২)-এর নাম জানা গেছে। সে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের লাল মাহমুদের ছেলে। বাকীদের নাম ঠিকানা জানা যায়নি, এরা সবাই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কালিহাতী আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর কর্মী-সমর্থক বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
এ ঘটনায় কালিহাতী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোল্লা মুশফিকুর রহমান মিল্টন জানান, কালিহাতী আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর জনসভায় সংবাদ সংগ্রহ করতে তিনিসহ কয়েকজন সংবাদকর্মী ওই জনসভায় যান। সভা শেষে কর্মীদের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে। মারধরের ছবি ক্যামেরায় ধারণ করলে, ওই কর্মী-সমর্থকরা দুই সাংবাদিকের উপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে ধাক্কা দেয় এবং মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। তিনি বাঁধা দিলে তাকেও লাঞ্ছিত করা হয়। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় তিনি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল ফারুক জানান, সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।