ভূঞাপুরে বেড়ানোর কথা বলে স্বামীকে হত্যা করে লাশ বালুচাপা

অপরাধ আইন আদালত ফিচার ভূঞাপুর

ভূঞাপুর প্রতিনিধি: স্ত্রী রেশমী খাতুন তাঁর স্বামী নাঈম হোসেনকে নিয়ে যমুনার চরে বেড়ানোর কথা বলে তার বন্ধু মাসুদের সহায়তায় স্বামীকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে। স্বামীর মরদেহ গুম করার জন্য তারা দু’জন চরে বালুচাপা দেন। রেশমী ও মাসুদ বুধবার বিকেলে টাঙ্গাইলে ভূঞাপুর আমলি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ কথা জানান।

 

 

 

ভূঞাপুর আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলাম ১৬৪ ধারায় তাদের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। পরে দু’জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

নিহত নাঈম হোসেন (২০) ভূঞাপুরের মাইজবাড়ি গ্রামের মোঃ শফিকুল ইসলামের ছেলে। তার স্ত্রী রেশমী খাতুন (১৮) পার্শ্ববর্তী রামাইল গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের মেয়ে। রেশমীর বন্ধু মাসুদ (১৯) একই উপজেলার চরভরুয়া গ্রামের আবদুল হাইয়ের ছেলে। জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার চর ডাকাইতাবান্দা এলাকায় রেশমী ও মাসুদের দেখানো স্থান থেকে নাঈমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত নাঈমের পরিবার সূত্রে জানা যায়, নাঈম ও রেশমী প্রায় তিন মাস আগে প্রেম করে বিয়ে করেন। ১৯ ডিসেম্বর স্ত্রী রেশমীকে নিয়ে নাঈম রামাইল গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে যান। পরে রেশমী নাঈমকে নিয়ে বিকেলে ঘুরতে বের হন। এরপর রাতে রেশমী বাবার বাড়িতে ফিরে জানান, তার স্বামী নাঈম চলে গেছেন। এর পর থেকে নাঈমের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।

মাসুদ নিখোঁজ থাকার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে রেশমী ও মাসুদকে গত মঙ্গলবার আটক করা হয়। পরে ভূঞাপুর থানা-পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা নাঈমকে হত্যা ও মরদেহ গুমের কথা স্বীকার করেন। মঙ্গলবার রাতেই জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার চর ডাকাইতাবান্দা এলাকায় তাদের দেখানো স্থান থেকে নাঈমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত নাঈমের বাবা শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই রাতেই ভূঞাপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভূঞাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল মামুন জানান, আটকের পর রেশমী তার বন্ধুর সহায়তায় স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে তার বন্ধু মাসুদকেও আটক করা হলে সে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা জানান। রেশমীর সঙ্গে মাসুদের প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। পরে তারা দুজনই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *