নিজস্ব প্রতিবেদক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের দুই এমপি প্রার্থীকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন টাঙ্গাইল-২ এর নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
আওয়ামী লীগের মনোনীত (নৌকা) প্রতীকের প্রার্থী তানভীর হাসান ছোট মনির ও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত স্বতন্ত্র (ঈগল) প্রতীকের প্রার্থী ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডুকে এ নোটিশ দেয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু তার নির্বাচনী এলাকা গণসংযোগ করার জন্য ভূঞাপুর পৌর শহরের দারোগ আলী সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্স কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য বসেন। এ সময় তার প্রচারণার সংবাদ শুনে আওয়ামী লীগ এমপি সমর্থিত কর্মীরা ওই কার্যালয়ে হামলা চালায় এবং ইটপাটকেলে ঢেলে অফিসের জানালার গ্লাস ভেঙে যায়। এছাড়াও অফিসের নিচে থাকা মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এরই প্রেক্ষিতে ঘটনার দিন বিকালেই প্রধান নির্বাচন কমিশন টাঙ্গাইল বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু। তার অভিযোগ আমলে নিয়ে নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছোট মনিরকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ২১ ডিসেম্বর ২ টা ৩০ মিনিটে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি টাঙ্গাইল কার্যালয়ে স্বশরীরে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
অপরদিকে, গোপালপুর উপজেলার ঝাওয়াল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন লিখিত অভিযোগ করেন, গত ১৯ ডিসেম্বর বিকালে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডুর সমর্থিতরা ঝাওয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিসে প্রবেশ করে বঙ্গবন্ধুর ছবি, আসবাবপত্র ভাঙচুর ও কেন্দ্র খরচের টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেন। এই অভিযোগ আমলে নিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি টাঙ্গাইল কার্যালয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডুকে স্বশরীরে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোঃ কায়ছারুল ইসলাম বলেন, গোপালপুর ভূঞাপুরে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছোট মনির ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু এই দুই প্রার্থীর কাছে ব্যাখা চেয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার তলব করা হয়েছে। এসব এলাকায় প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।