সখীপুরে বাসাবাড়িতে গোডাউনে পেট্রল মজুত, ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

দুর্ঘটনা ফিচার সখিপুর

সখীপুর প্রতিনিধি: সখীপুরে বাসাবাড়িতে স্থাপন করা পেট্রল-ডিজেলের গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনের তীব্রতায় গোডাউনের পাশে ঢাকা-সাগরদীঘি সড়কে প্রায় দুই ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।

 

 

 

সোমবার সকাল ১১ টায় উপজেলার কচুয়া বাজার এলাকায় যমুনা অয়েল-এর সখীপুরের পরিবেশক মোঃ শওকত হোসেনের গোডাউনে ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ব্যবসায়ী শওকত হোসেন দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার কচুয়া বাজারের একটি দোকানে পেট্রল, কেরোসিন, মবিল, ডিজেল ও ব্যাটারির ব্যবসা করে আসছেন। ওই বাজারেই তাঁর বাসাবাড়িতে তেল বহনের দুটি লরি ট্রাক ও ড্রামে করে তেল ও অন্যান্য মালামাল মজুত করে রাখেন।

আজ সোমবার সকালে হঠাৎ ওই বাড়িতে আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায়। এ সময় বাড়ির লোকজন দৌড়ে বাইরে চলে আসে। আগুনের তীব্রতা বেড়ে তেলের ২০-২৫টি ড্রাম বিস্ফোরিত হয়। এ সময় পুরো বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পাশের একটি বাসারও আংশিক পুড়ে যায়। পরে সখীপুর, বাসাইল, টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

অগ্নিকাণ্ডে অন্তত দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই গোডাউনের মালিক এ ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব শওকত সিকদার, জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম ভূইয়া, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ শাহীনুর রহমান।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শওকত সিকদার বলেন, মবিল, পেট্রলসহ দাহ্য পদার্থ যথাযথ আইন ও নিয়ম মেনে মজুত করলে এমন দুর্ঘটনা দেখতে হতো না। এ বিষয়ে তিনি আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান।

টাঙ্গাইল জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম ভূইয়া তেল ও মবিল ভর্তি চার শতাধিক ড্রাম ও চার হাজার লিটার তেল ভর্তি দুটি ট্রাক, দুটি মোটরসাইকেল এবং গোডাউন পুড়ে যাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো জানান, বিদ্যুতের শর্টসার্কিট কিংবা শ্রমিকদের বিড়ি সিগারেটের ফেলে দেওয়া আগুন থেকে আগুনের লাগতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি, এগুলো তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *