টাঙ্গাইল-৫ আসনে ৬ সংসদ সদস্য প্রার্থীর নামে ৬১টি মামলা!

জাতীয় টাঙ্গাইল সদর ফিচার রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৫ সদর আসনে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে ১১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৬ জন প্রার্থীর নামে নানা অপরাধে ৬১টি মামলা রয়েছে। অপর ৪ প্রার্থীর নামে কোনো মামলা নেই।

 

 

 

টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে প্রার্থীদের দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের হলফনামা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

হলফনামা সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুনের নামে রয়েছে ১টি মামলা। ওই মামলায় তিনি খালাস পেয়েছেন।

বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত ‘স্বতন্ত্র গণতন্ত্র মঞ্চের’ নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার আহসান হাবিবের নামে ৯টি মামলা রয়েছে। তার সবকটি মামলাই বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।

জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী ও জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হকের নামে ২টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি আপিল বিভাগে শুনানিতে রয়েছে। অপর মামলায় তিনি অব্যাহতি পেয়েছেন।

টাঙ্গাইলের আলোচিত ‘সিদ্দিকী’ পরিবারের সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ সিদ্দিকীর নামে ২৮টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে ১৮টি মামলায় অব্যাহতি আর ৬টি মামলায় খালাস পেয়েছেন তিনি। বাকি ৪টি মামলা বর্তমানে চলমান রয়েছে।

টাঙ্গাইল পৌরসভার তিনবারের সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী জামিলুর রহমান মিরনের নামে ১৬টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে ১৫টি মামলায় তিনি খালাস পেয়েছেন। তার বিরুদ্ধে একটি মামলা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।

টাঙ্গাইল সদর আসনের বর্তমান এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, স্বতন্ত্র প্রার্থী ছানোয়ার হোসেনের নামে ৫টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৩টি মামলায় তিনি খালাস পেয়েছেন। অপর ২টি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন তিনি।

এছাড়া, টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের এমপি প্রার্থী তৃণমূল বিএনপির শরিফুজ্জামান খান মহব্বত, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) প্রার্থী তৌহিদুর রহমান চাকলাদার, স্বতন্ত্র প্রার্থী হাসরত খান ভাসানী, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেনিগার হোসেন তন্ময় ও জাকের পার্টির প্রার্থী দুলাল মিয়ার নামে কোনো মামলা নেই।

অপরদিকে, রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক রবিবার, ৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আইনজীবী খন্দকার আহসান হাবিব ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেনিগার হোসেন তন্ময়ের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম জানান, টাঙ্গাইল সদর আসনে যাদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে, তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে আপিল করতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *