গোপালপুর প্রতিনিধি: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর–ভূঞাপুর) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করতে সদ্য পদত্যাগ করেছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু। আজ শনিবার সকালে এই আসনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ কায়ছারুল ইসলাম তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন। এ সময় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন।
গোপালপুরে টানা তিনবার আওয়ামী লীগ থেকে উপজেলা পরিষদে নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু মনোনয়নপত্র বাতিলের বিষয়ে বলেন, ‘দৈবচয়ন পদ্ধতিতে ১০ জন ভোটারের মধ্য একজন ভোটারকে না পাওয়ার কারণে তদন্ত কমিটির রিপোর্টে মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।’ তিনি এ বিষয়ে আপিল করবেন বলে জানান।
সাধারণত আইন অনুসারে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করতে চাইলে তাঁকে সংশ্লিষ্ট আসনের এক শতাংশ ভোটারের নাম-পরিচয়সহ সই আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হয়। সেখান থেকে স্থানীয় নির্বাচন কর্মকর্তা দৈবচয়নের ভিত্তিতে ১০ জন ভোটারের অবস্থান যাচাই করেন। সংশ্লিষ্ট আসনে উক্ত ভোটারদের উপস্থিতি নিশ্চিত হলে মনোনয়ন গ্রহণ করা হয়। অন্যথায় বাতিল বলে গণ্য হয়।
জানা যায়, ইউনুস ইসলাম তালুকদার মনোনয়নপত্রে ভোটারের স্বাক্ষরে ভূঞাপুরের মাদারিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের মো. আরফান আলী সেকের স্বাক্ষর দেওয়া হয়েছে। তবে, আরফান আলী সেই স্বাক্ষর দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে আরফান আলী সেক বলেন, আমি কোথাও স্বাক্ষর দেইনি। আমার স্বাক্ষর জালিয়াতি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠাণ্ডু আরো বলেন, আরফান আলী সেকে স্বাক্ষর দিয়ে পরে তা অস্বীকার করছেন। তার বাড়িতে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়ে আমি আপিল করব।
জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থন যাচাই বিধিমালা ২০১১ এর ৫ বিধি লঙ্ঘিত হওয়ায় আইন অনুযায়ী তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
উল্লেখ্য, প্রথম দিন মনোনয়নপত্র বাছাই করা আসনগুলো হলো টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) এবং টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী)। মনোনয়নপত্র বাছাইকালে প্রার্থী, প্রার্থীর প্রস্তাবকারী, সমর্থনকারী এবং আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। আগামীকাল রবিবার বাকি চারটি আসনের মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে।