নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে সংসদ সদস্য পদে স্বতন্ত্র পদপ্রার্থী খন্দকার আহসান হাবিব সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন।
শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর বিকেলে শহরের একটি রেস্টুরেন্টে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এ সময় টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলাসহ টাঙ্গাইলে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় খন্দকার আহসান হাবিব জানান, তিনিসহ কয়েকজন ব্যক্তি ‘স্বতন্ত্র গণতন্ত্র মঞ্চের’ ব্যানারে ১৫ নভেম্বর ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন। ওইদিনই বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটি থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। তিনি ১৯ নভেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র তুলেছেন।
টাঙ্গাইল শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকায় স্থায়ী বাসিন্দা খন্দকার আহসান হাবিব বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। তিনি ১৯৯৩ সালে টাঙ্গাইল পৌরসভার কাউন্সিলর ছিলেন। ২০০৮ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল সদর আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন তিনি।
খন্দকার আহসান হাবিব বলেন, গণতন্ত্র রক্ষা করতে নির্বাচনের বিকল্প নেই। তিনিসহ বিএনপির অন্তত ১৫ জন নেতা স্বতন্ত্র গণতন্ত্র মঞ্চের ব্যানারে একত্র হয়েছেন। স্বতন্ত্র গণতন্ত্র মঞ্চ কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নয়। এ ব্যানারে বিএনপির অনেক নেতা নির্বাচনে আসার জন্য প্রস্তুত হয়েছেন। সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
তিনি বলেন, অনেক ক্ষোভ নিয়ে দীর্ঘদিন দল করেছি। এবার স্বতন্ত্র নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও মুক্তি চাই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষের কষ্টের শেষ নেই। অবরোধ হরতালে দেশের মানুষের অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি, একটি স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার পরিবর্তন হওয়া উচিত। অন্য কোনো কিছুর মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন হলে বাংলাদেশের গণতন্ত্র লুণ্ঠিত হবে। আমি কোনো চাপে কিংবা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করি নাই। টাঙ্গাইলের সাধারণ মানুষ আমার পক্ষে আছে। ফলাফল যাই হোক, নির্বাচন করব।