মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) নবনির্মিত ছয়টি বহুতল ভবন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর গণভবন প্রান্ত থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে নবনির্মিত ভবনগুলোর উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এ সময় মাভাবিপ্রবি থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ফরহাদ হোসেন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ আর এম সোলাইমান, ট্রেজারার অধ্যাপক ড মোঃ সিরাজুল ইসলামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাবৃন্দ।
২০১৬ সালের ২৫ অক্টোবর ৩৪৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শক্তিশালীকরণ মেগা প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। উদ্বোধনকৃত ভবনগুলোর মধ্যে রয়েছে, ১২ তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন, ১০ তলা বিশিষ্ট প্রশাসনিক ভবন, ১০ তলা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল, ৬ তলা বিশিষ্ট শেখ রাসেল হল, ৫ তলা বিশিষ্ট শিক্ষক ও কর্মকর্তা কোয়ার্টার।
১৯৯৯ সালের ১২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টাঙ্গাইলের সন্তোষে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০০১ সালে জাতীয় সংসদে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়।
২০০৯ সালে আবারও আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত প্রচেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, মাত্রকয়েক বছর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত ক্লাসরুম ছিল না। একাডেমিক ভবনের সংকট ছিল। টিনের ঘরে তাদের অনেক কষ্টে ক্লাস করতে হয়েছে। আধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ ল্যাবের পর্যাপ্ত সুবিধা ছিলনা। ভবনগুলো উদ্বোধনের পর তাদের দীর্ঘদিনের সমস্যাগুলো দূর হবে। এজন্য তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডক্টর মো. ফরহাদ হোসেন জানান, নতুন ভবনগুলো শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আবাসিক ও একাডেমিক ভবনের স্বল্পতার নিরসন হবে। এতে শিক্ষা ও গবেষণায় অভুতপূর্ব সাফল্য বয়ে আনবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণে স্বল্প সময়ে এ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে।
