মির্জাপুর প্রতিনিধি: মির্জাপুরে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীকে আটক করতে গেলে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটায় বলেও জানিয়েছেন প্রত্যাক্ষদর্শীরা।
মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর দুপুরে উপজেলা সদরের গাড়াইল গ্রামে আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীর বাসভবনে ঘটনাটি ঘটে।
বিএনপির কয়েকজন নেতা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপির ডাকা তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচি বাস্তবায়নে দলীয় নেতাকর্মীরা আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীর বাড়িতে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীর বাড়িতে অবস্থান নিয়ে তাকে আটকের চেষ্টা করেন। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। একই সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীকে ছাড়িয়ে নেন নেতাকর্মীরা।
পরে পাশের গাড়াইল ত্রিমোহন মসজিদের মাইকে একাধিকবার পুলিশকে প্রতিহত করার ঘোষণা দেন বিএনপি নেতারা। এ সময় পুলিশ সেখান থেকে মির্জাপুর থানার নাশকতা মামলার আসামি উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন খান, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা জীবন ও গোড়াই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দুলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতাকর্মীরা নাশকতার উদ্দ্যেশে আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীর বাড়িতে জমায়েত হতে থাকেন। খবর পেয়ে আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীর বাড়িতে গেলে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোকজন জমায়েত করার চেষ্টা করেন তারা। এ সময় পুলিশ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। তিনি আরও জানান, এ বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে।