সখীপুর প্রতিনিধি: সখীপুরে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অজ্ঞাত যুবকের লাশের পরিচয় অবশেষে মিলেছে। আমিনুল ইসলাম (৩৮) নামের ওই যুবকের পেশায় একজন অটোরিকশা চালক। আমিনুল উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের আবদুল জলিল মিয়ার ছেলে।
সোমবার, ৩০ অক্টোবর এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফজলুল হক। গত রবিবার রাতে ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পেরে থানায় গিয়ে ছেলের মরদেহ শনাক্ত করেছেন আবদুল জলিল মিয়া।
নিহতের বাবা আবদুল জলিল মিয়া বলেন, আমিনুল প্রায় দুই বছর ধরে অটোরিকশা চালায়। শনিবার বিকেলে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। তার মোবাইল নম্বরও বন্ধ পাওয়া যায়। রোববার সারাদিন খোঁজাখুঁজির পর ফেসবুকের মাধ্যমে খবর পেয়ে থানায় যাই। সেখানে ছেলের লাশ দেখতে পাই।
তিনি আরও বলেন, ছিনতাইকারীরা আমার ছেলেকে হাত-পা বেঁধে খুন করে অটোরিকশাটি নিয়ে গেছে। আমার ছেলের হাত-পা ও মুখ যে কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল, ওইগুলো আমার নাতনির (আমিনুলের মেয়ে) পুরোনো ওড়নার কাপড়। অটোরিকশা পরিষ্কারের জন্য ওইগুলা গাড়িতেই রাখা ছিল। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ শাহিনুর রহমান বলেন, লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ছিনতাইকারী ওই চক্রটিকে ধরতে পুলিশ ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের কালমেঘা বেলতলী এলাকায় বনের ভেতর দিয়ে যাওয়া সড়কের পাশ থেকে পুলিশ আমিনুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে। তাৎক্ষণিক কেউ ওই যুবকের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি। তবে লাশের হাত-পা ও মুখ ওড়নার কাপড় দিয়ে বেঁধে রাখা ছিল।