নাগরপুর প্রতিনিধি: রাজধানীর দৈনিক বাংলার মোড়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজের বর্তমান বাড়ি জেলার নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের ফয়েজপুর গ্রামে চলছে মাতম। তিনি ওই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সেকেন্দার আলী মোল্লার বড় ছেলে।
শনিবার, ২৮ অক্টোবর রাত সাড়ে সাতটার দিকে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আইয়ুব আলী এই তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, নিহত পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজদের বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চারকাটারি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের চরকাটারি গ্রামে বাড়ি ছিল। তবে ২০১১ বা ২০১২ সালের দিকে যমুনা নদীতে বসতবাড়ি ভেঙে যায়। পরে পরিবারসহ নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের ফয়েজপুর গ্রামে বাড়ি করেন। ২০১২ সালে তিনি বিয়ে করেন। তাঁর স্ত্রীর নাম রুমা আর ছয় বছর বয়সী মেয়ের নাম তানহা ইসলাম। তিনি স্ত্রী ও কন্যা সন্তান নিয়ে ঢাকায় থাকতেন।
দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আইয়ুব আলী সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নিহত পুলিশ কনস্টেবল পারভেজের বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা। পারভেজ ২০০৯ সালে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মানিকগঞ্জের ঠিকানায় পুলিশে চাকরি পান। তারা দুই ভাই এক বোন। ছোট ভাইয়ের নাম আজিজুল হক বিপ্লব। তবে বর্তমানে তাঁর পরিবার নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের ফয়েজপুর গ্রামের বসবাস করলেও তারা এখনও চরকাটারি ইউনিয়নের ভোটার।
এদিকে নিহত পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজের গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। তার মৃত্যুর সংবাদে পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজনেরা ও গ্রামবাসীর মধ্যে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, ওই পুলিশ সদস্যের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকায় জানাজা হবে। এরপর মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে আনা হবে। নিহতের পরিবার যেভাবে চাইবে, সেভাবে হবে। তার জানাজা ও তার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোসহ সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মরহুমের শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি।