হাফিজুর রহমান, ধনবাড়ী: তিন সন্তানের জননী গৃহবধূ চায়না বেগম। অভাবের সংসারে স্বামীর দিন মজুরী ও চায়না বেগম অন্যের বাড়ীতে ঝিঁ-এর কাজ করে তিনটি সন্তানকে পড়ালেখার খরচ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি কিডনী রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরে বন্ধ হয়ে গেছে ছেলের লেখাপড়া। এমন পরিস্থিতিতে ভালো নেই চায়না বেগমের পরিবারের সদস্যরা।
ধনবাড়ী উপজেলার ধোপাখালী ইউনিয়নের কান্দিপুর গ্রামের বাসিন্দা কৃষক জমশের আলীর স্ত্রী চায়না বেগম (৩৯)। বিগত ২০১৯ সাল থেকে তিনি কিডনী রোগে ভুগছেন। বড় মেয়ে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে ও ছোট মেয়ে এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষে কলেজে অধ্যয়নরত। ছেলেটি পরিবারের অভাব অনটন থাকায় পড়ালেখা ছেড়ে দিয়ে দিয়ে দিনমজুরের কাজ করছে। পরিবারের যে সামান্য জয়গাটুকু ছিলো তাও বিক্রি করে দিতে হয়েছে। এখন তারা দিন আনে দিন খায়। ১৫ শতাংশ জমির মধ্যে দিনের একটি দোচালা ঘরের মধ্যে ২ মেয়ে ১ ছেলে ও স্বামী নিয়ে একটি রুমে দুটি চৌকিতে তাদের বসবাস।
অসুস্থ চায়না বেগমের স্বামী জমশের আলী জানান, স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে আমার সামান্য কিছু আবাদের জমি ছিলো তাও তার চিকিৎসার জন্য বিক্রি করে দিতে হয়েছে এখন আমি নিঃস্ব। এখন তার দুটি কিডনীই নষ্ট হয়ে গেছে। চিকিৎসক বলেছেন আমার স্ত্রীর দুটি কিডনী নতুন করে কিনে প্রতিস্থাপন করতে ৩০ লাখের উপরে টাকার প্রয়োজন। যা আমার পক্ষে এর ব্যায় ভার করা অসম্ভব। তাই সমাজ ও দেশের বৃত্তবানরা এগিয়ে এলে আমার স্ত্রী আবারো সুস্থ হতে পারবে।
আর্থিক সহযোগিতা পাঠানোর ঠিকানা: চায়না বেগম, হিসাব নং- ৪৪০৪১০১০২০৬৬০, পূবালী ব্যাংক, ভাইঘাট বাজার শাখা, ধনবাড়ী, টাঙ্গাইল। পারসোনাল বিকাশ ও নগদ নাম্বার- ০১৭০৭-৩১৭০৫১।