সখীপুর-বাটাজোর সড়ক: গত ১০ মাসেই খানাখন্দ ভরা!

পরিবেশ ফিচার সখিপুর

সখীপুর প্রতিনিধি: সখীপুর-বাটাজোর সড়কটি গত ১০ মাস আগে ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হলেও নতুন সড়কটিতে অল্প সময়েই বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট গর্ত তৈরি হয়েছে। দুই মাসের কম সময়ে ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটিতে ছয়-সাতটি গর্তের সৃষ্টি হয়েছে বলে দেখা গেছে।

 

 

অবশ্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কিছু গর্ত ভরাট করলেও এখনো তিন-চারটি স্থানে গর্ত আছে। কাজের মান ঠিক না থাকায় এক বছর যেতে না যেতেই সড়কটির এই হাল হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সখীপুর এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সখীপুর পৌর শহরের মুক্তার ফোয়ারা থেকে ময়মনসিংহের ভালুকার বাটাজোর পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণ ও পুনর্নির্মাণ করা হয়। ১৩ কোটি ২৬ লাখ টাকার কাজটি করার দায়িত্ব পায় মেসার্স দাস ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তাদের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। কাজের মেয়াদ ছিল ২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত। যথাসময়ে কাজ শেষ হলেও শুরুতেই কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল।

সরেজমিনে দেখা যায়, সখীপুর-বাটাজোর সড়কের বাগবেড় এলাকায় ১০০ গজের ব্যবধানে দুটি স্থানে, হাজীরবাজার এলাকায় একটিসহ পাঁচ-ছয়টি স্থানে গর্ত তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে কালভার্ট বা সেতুর সংযোগ স্থানে দেবে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

একটু বৃষ্টি হলেই দেবে যাওয়া স্থানে পানি জমে পরে ছোট ছোট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ সড়কে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, ইজিবাইক, ভ্যান, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন যাতায়াত করে। গর্ত ও দেবে যাওয়া জায়গাগুলোয় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে যানবাহনের চালকদের।

রফিকুল ইসলাম নামের একজন প্রাইভেটকারের চালক বলেন, ওই সড়কে চোখে দেখা কিছু গর্ত ছাড়াও কিছু চোরাই গর্ত রয়েছে। গাড়ি চালানোর সময় খুবই সতর্ক থাকতে হয়।

নতুন রাস্তায় গর্ত প্রসঙ্গে মেসার্স দাস ট্রেডার্স ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কাজ ক্রয় করে নেওয়া বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মির্জা রাজিক বলেন, কাজের মান খারাপ হয়নি। আমরা নিয়ম মেনেই কাজ করেছি।তবে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় সেতুর দুই পাশে দেবে যাওয়ার কারণে সড়কের দু-একটি স্থানে গর্ত হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে গর্ত ভরাট করেছি। অন্য গর্তগুলোও পর্যায়ক্রমে ভরাট করে দেব।

এলজিইডির সখীপুর উপজেলা প্রকৌশলী আবদুল বাছেদ বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের জামানতের টাকা আটকা আছে। সড়কের গর্ত ভরাট করে দেওয়ার জন্য তাদের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা পর্যায়ক্রমে এসব গর্ত ভরাট করে দেবে বলে জানিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *