গোপালপুর প্রতিনিধি: গোপালপুর উপজেলায় স্বামীকে ঘুষের ঔষুধ খাইয়ে অসচেতন করে গোপনাঙ্গ কেটে সন্তান রেখে পালিয়েছে তার প্রথম স্ত্রী। এ ঘটনায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই ব্যক্তি।
শনিবার, ১৪ অক্টোবর দুপুরে গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়াউল মোর্শেদ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) রাতে উপজেলার নগদাশিমলা ইউনিয়নের দক্ষিণ বিলডগা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, এক সন্তানের জনক ওই ব্যক্তি শিক্ষকতা ও ইমামতী পেশা ছেড়ে দিয়ে ঢাকায় রেলওয়েতে চাকুরী নেন। সেখানে তার বিরুদ্ধে প্রথম স্ত্রীকে গোপন করে দ্বিতীয় বিয়ে করে সন্তান নিয়ে সংসার করার অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রথম স্ত্রীর সাথে তার কলহ চলছিল। শুক্রবার বিকালে ওই ব্যক্তি ঢাকা থেকে বাড়ীতে আসলে রাতে প্রথম স্ত্রীর সাথে তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে ঝগড়া হয়।
পরিবার ও স্থানীয সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতের কোন এক সময় ঘুমানের আগে প্রথম স্ত্রী তার স্বামীকে পানির সাথে মিশিয়ে ঘুমের ঔষুধ খাওয়ায়। স্বামী অচেতন হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। পরে কোন এক সময় গোপনাঙ্গের মাঝামাঝি অংশে ব্লেড দিয়ে কেটে দ্বি-খন্ডিত করে সন্তান রেখে পালিয়ে যায় স্ত্রী।
এ বিষয়টি সকালে ঘটনা জানাজানি হলে পরিবারের সদস্যরা প্রথমে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার্ড করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আলীম আল রাজী জানান, গোপনাঙ্গ কাটা অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনেন স্বজনরা। তার অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়াউল মোর্শেদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে ওই ব্যক্তির পরিবার থেকে কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ওই ব্যক্তির স্ত্রীর মা ও তার ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় আনা হয়েছে।