স্বাধীনতার নেতা বঙ্গবন্ধু, আমরা তাকে ছাড়তে পারি না – বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী

কালিহাতী ফিচার রাজনীতি

কালিহাতী প্রতিনিধি: কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, সারা বাংলাদেশে কি হবে জানি না, তবে আমরা টাঙ্গাইলকে সম্মানিত করবো। আমাদের সামনে বিকল্প নাই, আমাদের সামনে স্বাধীনতা। স্বাধীনতার নেতা বঙ্গবন্ধু, আমরা তাকে ছাড়তে পারি না। যে যাই বলুক। বরং আওয়ামী লীগ ঠিক লাইনে নাই। বঙ্গবন্ধু কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ করেছিলেন। আওয়ামী লীগকে কবর দিয়ে বঙ্গবন্ধু কবরে গিয়েছেন।

 

 

শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে তার নিজ গ্রাম কালিহাতী উপজেলার ছাতিহাটিতে গ্রামে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তার বাবা মায়ের কবর জিয়ারতে আগে এ কথা বলেন তিনি।

 

 

জিয়াউর রহমানকে উল্লেখ করে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী জিয়াউর রহমানকে দেখতে পারতেন না। তবে আমার বাবা জিয়াউর রহমানকে পছন্দ করতেন। জিয়াউর রহমান প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময়ে আমার বাবা কোর্টে যাচ্ছিলেন। ঠিক ওই সময়ে শহরের কুমুদিনী কলেজের সামনে বাবাকে দেখে জিয়াউর রহমান গাড়ি থেকে নেমে তার পায়ে হাত দিয়ে সালাম করছিলেন। এ কারণে আমার বাবা জিয়াউর রহমানের সম্পর্কে খারাপ কথা শুনতে পারতেন না। শেষ দিন পর্যন্ত জিয়াউর রহমানকে তিনি সন্তানের মতো দেখছেন।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিরাপদ করতে হলে, রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার যে প্রচেষ্টা, সেটাকে প্রতিহত করতে হলে শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করতে হবে।

তার ভাই সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে তিনি বলেন, আপনার হাজার হাজার নেতা কর্মী ছিলো, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সময় কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আপনার লাখ নেতাকর্মী বঙ্গবন্ধু হত্যায় রুখে দাঁড়াতে পারে নাই। আপনাকে যখন আওয়ামী লীগ থেকে বের করে দেয়া হয়েছিলো, আপনার পক্ষে ১০টা নেতাও দাঁড়াতে পারে নাই। আমি আপনার বক্তব্য শুনেছি, ইসলাম সম্পর্কে আপনার বক্তব্যে একটা দাড়ি কমাও ভুল নাই। কিন্তু আপনার লোকেরা কেউ তুলে ধরতে পারে নাই।

তিনি আগামী নির্বাচন সম্পর্কে বলেন, আজকে থেকে শুরু হলো আমাদের কাজ। আমাদের যাত্রা শুরু হলো। আমি বলে যেতে চাই, লফিত সিদ্দিকী আমার পিতার সমান। আমার গায়ে হাত দিলে সেই হাত থাকবে, টিকবে। কিন্তু লতিফ সিদ্দিকীর গায়ে হাত দিলে সে হাত টিকবে না। রাজনৈতিক সমালোচনা করা যাবে। রাজনীতির বাইরে লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে কোন কথা বলা যাবে না। আমরা ঘুষ খোরদের হাত থেকে, গুন্ডাদের হাত থেকে ও দুর্নীতিবাজদের হাত থেকে টাঙ্গাইলকে বাঁচাতে চাই।

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী কায়সার, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা বীরপ্রতিক, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রিয় সদস্য আবুল মনসুর আজাদ সিদ্দিকী প্রমুখ।

এ সময় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের অন্যান্য নেতা কর্মীসহ বঙ্গবীরের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *