সখীপুর প্রতিনিধি: সখীপুর উপজেলার নয় বছরের শিশু সামিয়া হত্যার আসামি সাব্বির মিয়াকে (২১) গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডের ২২ দিন পর রহস্য উদ্ঘাটন করেছে টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও সখীপুর থানা-পুলিশের যৌথ একটি দল। সাব্বিরকে গত বুধবার দিবাগত রাত ১২টার পর তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। রাতেই তিনি পুলিশের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করে ঘটনার বর্ণনা দেন।
গ্রেপ্তারকৃত সাব্বির উপজেলার দাড়িয়াপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। সাব্বির নিহত সামিয়ার স্কুলের পাশে মুদিদোকান করতেন। এ নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সখীপুর থানায় সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং করে জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
প্রেস ব্রিফিং-এ পুলিশ সুপার জানায়, গত ৬ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে সখীপুরের দাড়িয়াপুর উত্তর পাড়া গ্রামের শিশু সামিয়াকে স্কুল থেকে ফেরার পথে হত্যা করে সাব্বির মিয়া। হত্যার পর ওই দিন সামিয়ার বাবার কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে ইমুতে ভয়েজ মেসেজ পাঠায়। এ ঘটনায় ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সখীপুর থানায় মামলা দেয় শিশুর বাবা রঞ্জু মিয়া। ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে ওই এলাকার পরিত্যক্ত এক ড্রেন থেকে সামিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ হত্যার আসামী গ্রেফতার ও রহস্য উদঘাটন করতে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) এর নেতৃত্বে ডিবি পুলিশ ও সখীপুর থানা পুলিশের প্রচেষ্টায় আসামী সাব্বির মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, সাব্বির ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়লে তিনি কয়েক মাস আগে থেকেই মুক্তিপণ আদায়ের জন্য শিশু অপহরণের পরিকল্পনা করেন। সামিয়ার বাবা কুয়েতপ্রবাসী হওয়ায় তাঁর মেয়েকেই অপহরণ করার সিদ্ধান্ত নেন সাব্বির।
এ ঘটনায় সামিয়ার বাবা রঞ্জু মিয়া বলেন, আমার মেয়ে হত্যাকারী সাব্বিরের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি এবং ওর সাথে যদি আরও কেউ জড়িত থাকে তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাই।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সখীপুর থানার উপপরিদর্শক মাসুদ রানা বলেন, সাব্বির বলেছেন অপহরণের পর খুনের পরিকল্পনাকারী তিনি নিজেই। তারপরও পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আগামীকাল শুক্রবার সাব্বিরকে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হবে।