নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলে রেলস্টেশনে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের উদ্যোগে যাত্রা শুরু করেছে স্টেশন অণু-পাঠাগার। বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর জেলার ঘারিন্দা রেলস্টেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে অণু-পাঠাগার উদ্বোধন করা হয়।
স্টেশনে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের বই পড়ার সুযোগ করে দিতে বিভিন্ন ধরনের অর্ধ-শতাধিক বই নিয়ে এ পাঠাগারের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
অণু-পাঠাগার উদ্বোধন করেন টাঙ্গাইল সাধারণ গ্রন্থাগারের সাধারণ সম্পাদক কবি মাহমুদ কামাল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুমুদিনী সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলনের সভাপতি আব্দুস ছাত্তার খান, সহ-সভাপতি ডা. রাজেন্দ্র দেবনাথ, কর পরিদর্শক খন্দকার মিজানুর রহমান, টাঙ্গাইল রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার রকিবুল হাসান, বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা কামরুজ্জামান প্রমুখ।
টাঙ্গাইল থেকে ঢাকাগামী সিল্কসিটি ট্রেনের অপেক্ষমাণ যাত্রী মোঃ আলতাফ হোসেন বলেন, ‘এটি খুবই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। ট্রেনের জন্য বিভিন্ন সময় স্টেশনে অপেক্ষা করতে হয়। তখন মোবাইলে সময় অপচয় করি। অপেক্ষার এ সময়টুকু এখন আমরা বই পড়ে আনন্দের মধ্যে কাটাতে পারবো, খুবই ভালো লাগছে।
বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা কামরুজ্জামান বলেন, যাতায়াতের পথে ট্রেনের জন্য স্টেশনে অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয়। এ সময় যাত্রীরা গল্পগুজব করে অলস সময় পার করে দেন। স্টেশনে বই পড়ার সুযোগ থাকলে যাত্রীরা বই পড়ে আনন্দে সময় কাটানোর মধ্য দিয়ে মনোজগতকে পরিশুদ্ধ করতে পারবেন। বই পড়ার এ কার্যক্রম আরো সম্প্রসারিত করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। ইতোমধ্যে জেলার বেশ কয়েকটি বাজারে সেলুন অণু-পাঠাগার ও বাসস্ট্যান্ড অণু-পাঠাগার চালু করেছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ‘এসো বই পড়ি, নিজেকে আলোকিত করি’ স্লোগানকে সামনে রেখে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চৌরাকররা গ্রামে ২০১০ সালে গড়ে ওঠে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার। প্রতিষ্ঠার পর থেকে পাঠাগারটি মানুষের মধ্যে পাঠাভ্যাস তৈরি ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে সেলুন, বাসস্ট্যান্ড ও স্টেশন অণু-পাঠাগার স্থাপনসহ শিক্ষামূলক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি আর্তমানবতার সেবায় বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।