নিজস্ব প্রতিবেদক: মওলানা ভাসানীর কনিষ্ঠ পুত্র আবুবকর খান ভাসানীর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী টাঙ্গাইলের সন্তোষে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে আজ সকাল ৯টায় এক শোক র্যালী শেষে মরহুমের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান ও মরহুমের পুত্র হাসরত খান ভাসানী। এ সময় তাঁর আরেক পুত্র ভাসানী পরিষদের সদস্য সচিব আজাদ খান ভাসানীসহ মরহুমের অসংখ্য ভক্ত অনুরাগীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় হাসরত খান ভাসানী বলেন, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলর মওলানা ভাসানীর এই পবিত্র অঙ্গণকে ‘নিষিদ্ধ’ নগরীতে পরিণত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, আমার বাবার ১১তম উক্ত ওরশ মোবারক ও স্মরণ সভায় সহযোগিতার জন্য মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলে শেষ মুহূর্তে তারা এই অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ ঘোষণা করে আমাকে পত্র দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন চিঠি পেয়ে আমরা পরিবারসহ ভাসানী অনুরাগীরা ভীষণভাবে হতবাক, মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ হয়েছি। আমার মরহুম বাবার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা কোন আইনে নিষিদ্ধ আমার জানা নাই। আপনাদের মাধ্যমে দেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
সেই সাথে বিকাল ৫টায় আবুবকর ভাসানীর স্মরণ সভা সফল করতে দেশের রাজনীতিবিদ প্রশাসন ও জনগণের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন। এ সময় তিনি এইচএসসি পরীক্ষার কারণে বিকাল ৫টা পর্যন্ত স্মরণ সভার কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করেন।
আবুবকর খান ভাসানীর স্মরণ সভায় টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র আলহাজ্ব জামিলুর রহমান মিরন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হোসেন মানিক, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ রউফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিক হোসেন বিএসসি, ন্যাপের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. আবদুল করিম, চাঁন মিয়া, ভাসানী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইউনুছ আলী সবুজ, কুড়িগ্রাম জেলা ন্যাপ সভাপতি সেলিম খান, পীর শাহজামান বাজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, মুরিদান সংঘের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ আজাদ, প্রচার সম্পাদক আবু সাঈদ, ডা. ইদ্রিস আলীসহ অন্যন্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করবেন হাসরত খান ভাসানী।
উল্লেখ্য, আবুবকর খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তাঁর ভক্ত অসুসারীরা উপস্থিত হয়েছেন।