ঘাটাইল প্রতিনিধি: ঘাটাইল উপজেলার সরাবাড়ীতে গ্রাম্য সালিশে ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধকে জুতাপেটা করেছেন ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম। নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। পারিবারিক দ্বন্দ্ব মীমাংসার জন্য ডাকা সালিশে ধলাবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামের নির্দেশে ইউপি সদস্য নুরুল নির্যাতন চালান বলে অভিযোগ।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যসহ ১১ জনের নামে জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই ভুক্তভোগী।
জানা যায়, ভুক্তভোগী ভুক্তভোগী ইদ্রিস আলীর সৌদি প্রবাসী ছেলে ছয় বছর আগে বিয়ে করেন ধলাপাড়ায়। অভিযোগ রয়েছে, ভুক্তভোগীর ছেলের অনুপস্থিতিতে পুত্রবধূ পরকীয়ায় জড়ান। তারা সতর্ক করলে হুমকি দেন আত্মহত্যার। পরে পুত্রবধূকে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধ। এতে পুত্রবধূর পরিবার ক্ষুব্ধ হয়ে ধলাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামের কাছে বিচার দেন। সালিশে ওই বৃদ্ধের পরিবারকে ৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। টাকা পরিশোধ না করায় গত ১১ সেপ্টেম্বর চেয়ারম্যান শফিকের নির্দেশে সালিশেই নুরুল ইসলাম তাকে জুতাপেটা করেন।
ভুক্তভোগী বৃদ্ধ বলেন, ভরা সালিশে আমাকে নির্যাতন করা হয়েছে। কোনো কথা বলতে দেয়নি তারা। এর সুষ্ঠু বিচার চাই। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দেয়ার পর থেকে বিভিন্নভাবে তারা হুমকি দিচ্ছে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
রসুলপুর ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নূরুল ইসলাম বলেন, আমরা একই গ্রামে বাস করি। ইদ্রিসকে নিয়ে আগে খারাপ কিছু শুনিনি। কিন্তু উপস্থিত ছেলেরা খারাপ মন্তব্য করার পরও সে প্রতিবাদ না করায় আমরা ঘটনা সত্য বলে ধরে নিই। সে প্রতিবাদ করলে এমন পরিস্থিতি হতো না।
তবে অভিযুক্ত ধলাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম দাবি করেছেন, জুতাপেটার সময় তিনি ওই বৃদ্ধকে রক্ষা করেছেন। তিনি বলেন, আমি মারার নির্দেশ দেইনি। বিচার চলার সময় সালিশের কেউ কেউ মারার চেষ্টা করেছে বা মেরেছে। আমি তাদেরকে ঠেকানোর চেষ্টা করেছি। তিনি আরো বলেন, পরিষদের বাইরে বিচারের ক্ষেত্রে জরিমানার নির্দিষ্ট পরিমাণ নেই বিধায় এমনটা করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনিয়া চৌধুরী বলেন, আমি অনুলিপি পেয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।