ভূঞাপুর প্রতিনিধি: ভূঞাপুর উপজেলায় স্বামীর বিরুদ্ধে একটি বাসায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ খাটের নিচে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার দিকে ভূঞাপুর পৌরসভার ঘাটান্দির গনেশ মোড় এলাকার জহুরুল ইসলামের বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে মারা যাওয়া নারী মুনিয়া ইসলামের স্বামী মোস্তাক পালাতক রয়েছেন।
জানা যায়, মোস্তাক তার স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে ঘাটান্দির গনেশ মোড় এলাকার জহুরুল ইসলামের পাঁচতলা বাসার তৃতীয় তলায় ভাড়া থাকতেন। ১৫ বছর আগে মুনিয়ার সঙ্গে মোস্তাকের বিয়ে হয়।
মুনিয়ার স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়ে কলহ ছিল। তাদের দুই ছেলে রয়েছে। এদের মধ্যে একজন তার খালার বাসায় ছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ খাটের নিচে লুকিয়ে রাখেন মোস্তাক। শুক্রবার ভোরের দিকে বাসার মূল দরজা বাইরে থেকে লাগিয়ে পালিয়ে যান মোস্তাক।
এসময় বাসার অন্য একটি কক্ষে ঘুমিয়ে ছিল মুনিয়ার ছোট ছেলে। সকালে ঘুম থেকে উঠে ছেলেটি ডাকাডাকি করতে শুরু করে। এ সময় বাড়ির কেয়ারটেকার বাসার দরজা খুলে দেয়। এক পর্যায়ে মুনিয়ার ছোট ছেলে তার স্বজনদের খাটের নিচে দেখতে বলে। পরে খাটের পাতাটন খুলে মুনিয়ার লাশ দেখতে পান স্বজনরা।
মুনিয়া ইসলামের ভাই আমিনুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পারিবারিক ঝামেলা চলছিল মুনিয়া ও তার স্বামীর মধ্যে। বড় বোন নাসরিন আক্তার কয়েকদিন আগেই দুইজনকে বুঝিয়ে মিমাংসা করে দিয়েছিলেন। এরপর আর কিছু জানি না। সন্ধ্যায় খবর পেলাম বোনের লাশ বাসার খাটের নিচ থেকে উদ্ধার হয়েছে। বোনের স্বামী মোস্তাক পালাতক রয়েছে। বোনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ খাটের নিচে রেখে পালিয়েছে মোস্তাক। আমরা তার শাস্তি চাই।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আহসান উল্লাহ্ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ করে থানায় আনা হয়েছে এবং মরদেহের সুরতহাল শেষে মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো যাবে।