ধনবাড়ী প্রতিনিধি: ধনবাড়ীতে প্রেমিকের সহায়তায় স্বামীকে বালিশচাপায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে স্ত্রী ও পরকীয়া প্রেমিককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা। বুধবার ভোরে ধনবাড়ী উপজেলার পাইস্কা ইউনিয়নের কয়ড়া গ্রামের মধ্যপাড়ায় মনিন্দ্র চন্দ্র পালের ছেলে গনেশ চন্দ্র পালের সাথে ঘটেছে এমন ঘটনা।
আটক প্রেমিক অসীম চন্দ্র পাল (৩৫) নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার কোনা গ্রামের শ্যামল চন্দ্র পালের ছেলে। আর আটক নারী (৩০) ধনবাড়ী উপজেলার পাইস্কা ইউনিয়নের বাসিন্দা।
পারিবারিক সূত্র জানায়, ১১-১২ বছর আগে ধনবাড়ীর কয়ড়া গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার কামালপুর গ্রামের এক মেয়ের বিয়ে হয়। গত এক যুগে সংসার জীবনে তারা এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জনক-জননী। বিয়ের আগে থেকে ওই গৃহবধূ ও অসীমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের পরও তাদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। সম্প্রতি তাদের মধ্যে যোগাযোগ বেড়ে যায়। মাঝে মধ্যে অসীম ধনবাড়ীর কয়ড়ায় ছুটে আসেন।
মঙ্গলবার গভীর রাতে আপত্তিকর অবস্থায় দুইজনকে হাতেনাতে ধরেন স্বামী। অবস্থা বেগতিক বুঝে পরকীয়া প্রেমিক ও ওই গৃহবধূ মিলে স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মুখে বালিশচাপা দেয়। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে স্বামীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে আটক করেন। পুলিশ খবর পেয়ে বুধবার সকাল ৯টায় গিয়ে অসীম ও ওই গৃহবধূকে থানায় নিয়ে আসে।
অভিযোগকারী স্বামী গনেশ চন্দ্র পাল জানান, আমি বিগত ৯ বছর পূর্বে নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার কামালপুর গ্রামের জিতেন্দ্র পালের মেয়ে সুমা রানী পালকে বিবাহ করে সংসার করে আসছি। সংসার জীবনে আমাদের ঘরে একটি পুত্র ও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
আমার স্ত্রী আমার অজান্তে গোপনে এই পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কটি চালিয়ে আসছিলো। হঠাৎ করে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমার থাকার ঘরে আমাকে ঘুমন্তবস্থায় আমার স্ত্রী ও তার পরকীয়া প্রেমিক অসীম চন্দ্র পাল দুইজনে মিলে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন। আমার গোংগানি’র শব্দে পাশের ঘরে থাকা আমার বড় ভাই ও তার স্ত্রীসহ অন্যরা এসে আমাকে উদ্ধার করে। আমার স্ত্রী ও তার পরকীয়া প্রেমিক অসীমকে আটক করে। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে দু’জনকে থানায় নিয়ে যায়।
অসীম আমার শ্বশুর বাড়ীর পাশের উপজেলা দূর্গাপুরের রামপুর গ্রামের শ্যামল চন্দ্র পালের ছেলে। আমি আমার স্ত্রী সুমা রানী পাল ও তার পরকীয়া প্রেমিক অসীম চন্দ্র পালের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি এঘটনায় সঠিক বিচার দাবী করছি।
ধনবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ এইচএম জসিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পাওয়া মাত্রই দু’জনকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। অভিযুক্ত সুমা রানী পালের স্বামী গনেশ চন্দ্র পাল বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে দু’জনকেই টাঙ্গাইল জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।