গোপালপুরে শিক্ষক নিয়োগে প্রতারণা: চাকুরি প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন

গোপালপুর টাঙ্গাইল সদর দুর্নীতি ফিচার শিক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক: গোপালপুর উপজেলার মির্জাপুর হাতেম আলী বিএল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল তালুকদারের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর মোঃ রিয়াজুল জান্নাত মিথুন টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।

 

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও ডিজির প্রতিনিধির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। ভুক্তভোগী রিয়াজুল জান্নাত মিথুন গোপালপুর উপজেলার সুতী দিঘুলীপাড়া গ্রামের মোঃ মিনহাজ উদ্দিনের ছেলে।

 

 

সংবাদ সম্মেলনে রিয়াজুল জান্নাত মিথুন অভিযোগ করেন, ২০২২ সালের ২৫ মার্চ থেকে তিনি ওই বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। চলতি বছরের ১৭ মার্চ ওই বিদ্যালয়ে চারটি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। প্রধান শিক্ষকের আশ্বাসে মিথুন ল্যাব সহকারি পদে আবেদন করেন। পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল তালুকদার নিয়োগ নিশ্চিত করতে মিথুনের কাছে ছয় লাখ টাকা নেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে আরও নয় লাখ টাকা হাতিয়ে নেন প্রধান শিক্ষক।

 

 

মিথুন অভিযোগ করেন, গত ৩ জুন নিয়োগ পরীক্ষা থাকলেও প্রধান শিক্ষক আগের রাতে প্রশ্নপত্র তার পছন্দের প্রার্থীদের কাছে হস্তান্তর করেন। পরে বিষয়টি ডিজির প্রতিনিধিকে অবগত করলে পরীক্ষাটি ডিজির প্রতিনিধি স্থগিত করেন। প্রধান শিক্ষক চারটি ভিন্ন পদের জন্য ৮/৯ জনের কাছ থেকে প্রায় ৭০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আমার কাছ থেকে কয়েক দফায় ১৫ লাখ টাকা নেয়া হলেও আমাকে চাকরি দেয়া হয়নি। চাকরি না পাওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল তালুকদার আমাকে ছয় লাখ টাকা ফেরত দেন। বাকি টাকা চাওয়ায় তিনি নানাভাবে আমাকে হুমকি দিচ্ছেন। আমি অবশিষ্ট নয় লাখ টাকা ফেরতসহ প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। সংবাদ সম্মেলনে রিয়াজুল জান্নাত মিথুনের স্ত্রী তায়েবা ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

নিয়োগ পরীক্ষার ডিজির প্রতিনিধি টাঙ্গাইল বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কানিজ সালমা বলেন, দুর্নীতির অভিযোগে নিয়োগ পরীক্ষাটি স্থগিত করা হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল তালুকদারের সাথে মুঠোফোনে দফায় দফায় চেষ্টা করা হলেও ফোনটি রিসিভ করেননি তিনি। ফোনগুলো রিসিভ হলেও কথা বলেননি অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক।

এ বিষয়ে গোপালপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাজনিন সুলতানা জানান, নিয়োগ হয়েছে ও স্থগিত হয়েছে দুটোই আমি মৌখিক আকারে জানি। লিখিতভাবে কোন কিছুই জানি না। টাকা নেয়ার বিষয়টি আমার জানা নাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *