সময়তরঙ্গ ডেক্স: বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের নেতা ফারুক আহমদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তির জামিন আবেদন আপিল বিভাগ খারিজের আদেশ বহাল রেখেছেন। একইসঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের নেতা ফারুক আহমদ হত্যা মামলা ৬ মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতকে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন সর্ব্বোচ আদালত।
রবিবার, ২৭ আগস্ট আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন। আদালতে সাবেক মেয়র মুক্তির পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব এবং ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলাম।
এর আগে গত ১৯ জুলাই বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের নেতা ফারুক আহমদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তির জামিন আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তথ্য গোপন করে জামিন আবেদন করায় তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।
বিচারপতি মোঃ বদরুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ওইদিন আদালতে জামিন আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি।
ওইদিন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি বলেন, ওই মামলায় সহিদুর রহমান খান গত এপ্রিলে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে জামিন চেয়ে আবেদন দাখিল করেন। এই আবেদন বিচারাধীন থাকা অবস্থায় গত মাসে জামিন চেয়ে আরেকটি আবেদন করেন। জামিন চেয়ে আগে করা আবেদনের তথ্য দ্বিতীয় দফায় করা আবেদনে উল্লেখ করেননি। রাষ্ট্রপক্ষ তথ্য গোপনের বিষয়টি তুলে ধরলে শুনানি নিয়ে আদালত সহিদুর রহমান খানের জামিন আবেদন খারিজ করে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল শহরের কলেজপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ির কাছ থেকে জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।
২০১৪ সালে এই মামলায় জড়িত থাকা সন্দেহে আনিসুল ইসলাম রাজা এবং মোহাম্মদ আলী নামে দুই জনকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাদের আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে এই হত্যার সঙ্গে টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা, তার অপর তিনভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে।
তদন্ত শেষে গোয়েন্দা পুলিশ ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। এতে সংসদ সদস্য আমানুর রহমানরা চার ভাইসহ ১৪ জনকে আসামি করা হয়।