গোপালপুর প্রতিনিধি: রাজধানীর এএনজেড হাসপাতালে শনিবার, ১২ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান সাবেক উপমন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু এবং যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর মা মোছা. সালমা খাতুন (৯৫)।
রবিবার, ১৩ আগস্ট বিকেলে আব্দুস সালাম পিন্টুর গ্রামের বাড়ি গোপালপুর উপজেলার গুলিপেঁচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাঁর মা সালমা খাতুনের জানাজা সম্পন্ন হয়। প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মায়ের জানাজায় আব্দুস সালাম পিন্টু অংশ নিতে পারেন এমন খবর ছড়িয়ে পড়ায় বিএনপির শত শত নেতাকর্মী সেখানে ভিড় করেন। জানাজা ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাড়তি সদস্যও মোতায়েন করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মায়ের জানাজায় অংশ নেননি তিনি। তাকে ছাড়াই বাদ আসর আব্দুস সালাম পিন্টুর মায়ের জানাজা সম্পন্ন হয়।
জানাজায় কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম ওবায়দুল হক নাসির, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কৃষকদলের সহ-সভাপতি মাইনুল হোসেন, কৃষকদলের সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, যুবদলের সহসভাপতি খন্দকার মাসুদ, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মিঞা মো. রাসেল, যুবদলের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল করিম সরকার, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি-সম্পাদকসহ উপজেলা বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন বলেন, ‘আদালত অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন অপারগতা প্রকাশ করায় আব্দুস সালাম পিন্টু আসতে পারেননি।’
গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘প্যারোলে মুক্তি পেয়ে আব্দুস সালাম পিন্টুর আসার খবর শুনেছি। জানাজা হয়ে গেছে কিন্তু তিনি আসেননি। কেন আসেননি তা আমি জানি না।’
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, ‘বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টু প্যারোলে মুক্তি পেলেও আসতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি স্বেচ্ছায় আসেননি।’