ঘাটাইল প্রতিনিধি: ঘাটাইল উপজেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি অঞ্চল লক্ষিন্দর ইউনিয়নের সিদ্দিখালি বাজার হতে পার্শ্ববর্তী উপজেলার ফুলবাড়িয়া পর্যন্ত ৩ কি.মি. কাঁচা রাস্তা একটু বৃষ্টিতে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ঘাটাইল এবং ফুলবাড়িয়া দুই উপজেলার সীমান্ত এলাকার মধ্যে ঘাটাইল উপজেলার আধা কি.মি. পাহাড়ি কাঁচা রাস্তা যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
সরেজমিনে জানা যায়, এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শিক্ষার্থীসহ আশে পাশের গ্রামের প্রায় নয় হাজার থেকে দশ হাজার লোক যাতায়াত করেন। এলকাবাসী অভিযোগ করেন, রাস্তার বেহাল দশার কারণে শিক্ষার্থী সময় মতো পরীক্ষা কেন্দ্রে ও স্কুলে যেতে পারে না। কোন মুমুর্ষ রোগীকে সময়মতো চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পৌছানোর আগেই ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। এমনি কোন প্রসূতি মা জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা কেন্দ্র নেওয়ার আগেই রাস্তায়ই সন্তান প্রসব হয়ে যেতে পারে।
তারা জানান, এই রাস্তার বেহাল দশার কারণে গ্রামের মানুষ সবজি থেকে শুরু করে কাঁচামাল রাস্তায় নষ্ট হয়ে যায়। তার পরও যদি পৌছানো যায় তাদের যাতায়াত ব্যবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে খরচ বেশী হয়। যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ এর কারনে দিন বৃষ্টি হইলে দুর্ভোগের সীমা থাকে না; পোহাতে হয় নানা দুর্ভোগ।
স্থানীয়রা জানান, ঘাটাইল উপজেলার শেষ প্রান্তে হওয়ায় সিদ্দিখালি বাজার এলাকার রাস্তা শুরু থেকেই অবহেলিত অবস্থা পড়ে রয়েছে। যে দলই ক্ষমতায় আসেন না কেন, তাদের প্রতিনিধিরা শুধু ভোটের সময়ই এই এলাকায় আসেন। আর নির্বাচন শেষে তারা উধাও হয়ে যান। এলাকার মানুষ উন্নয়নের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেও তাদের কোনো সাক্ষাত পান না।
উপজেলার লক্ষিন্দর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সাইদুর রহমান বলেন, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে নির্বাচনে আমি চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছি। নির্বাচিত হয়েই আমি ঐ এলাকায় গিয়েছিলাম। আসলে এলাকাটি আমাদের উপজেলার সর্বশেষ প্রান্তে। যাতায়াতের স্থায়ী সমাধানের জন্য স্হানীয় সকল মানুষের সাথে আমি কথা বলেছি।
তিনি আরো বলেন, পূর্বের চেয়ারম্যান কি করেছে তা আমি জানি না। আমার ইচ্ছে এই ইউনিয়নের প্রতিটি রাস্তা মানুষের চলাচলের উপযোগী করে তুলব। ঘাটাইল উপজেলা স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মোঃ হেদায়েত উল্লাহ জানান, আমরা অনেকগুলো প্রকল্প দিয়েছি। আশা রাখি, পর্যায়ক্রমে এই এলাকার সব রাস্তা ঠিক হয়ে যাবে।