সেনাবাহিনীতে চাকুরির ভূয়া নিয়োগপত্রে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ!

দুর্নীতি ধনবাড়ী ফিচার

ধনবাড়ী প্রতিনিধি: ধনবাড়ী উপজেলায় সেনাবাহিনীতে চাকরি দেয়ার নামে ভূয়া নিয়োগপত্রে কাগজ দিয়ে প্রায় ৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।  জানা যায়, ধনবাড়ী পৌর শহরের দেবিপুর (ছোট বান্দ্রা) এলাকার গাজিবুর রহমান গাজির পরিবারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। প্রতিকার চেয়ে গত বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট ভুক্তভোগী আনোয়ারা বেগম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, দুদক, র‌্যাব -১২ টাঙ্গাইলসহ বিভিন্ন দপ্তের এই লিখিত অভিযোগটি দায়ের করেন। আনোয়ারা বেগম জামালপুর সদরের সরিষাবাড়ী উপজেলার রশিদপুর এলাকার ইকবাল হোসেনের স্ত্রী।

 

ভুক্তভোগী পরিবার, স্বাক্ষী ও অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, আত্মীয়তার সুবাদে পরিচয় হয় গাজিবুর রহমান গাজির ছেলে আলমগীর হোসেন হীরার শ্বশুর জুয়েল রানার সঙ্গে। জুয়েল রানা অফলাইনে সেনাবাহিনীতে চাকরি দিবে বলে প্রচার করে তাঁরা। বিষয়টি আনোয়ারা বেগম জানতে পেরে তাঁর ছেলে কাকন মিয়ার চাকরির জন্য কথা বলে গাজির পরিবারের সঙ্গে। গাজির ভাগ্নে হাফিজুরসহ এলাকার বিভিন্নজনকে স্বাক্ষী রেখে জুয়েল রানা ও গাজির পরিবারকে প্রায় ৭ লাখ টাকা প্রদান করে। এ বিষয়টি গোপনে ভিডিও ধারণ করে রাখে ভুক্তভোগী পরিবার।

 

জানা যায়, জুয়েলের কথা মতো কাকন মিয়াকে ঢাকার একটি বাসায় নিয়ে সেনাবাহিনীর ভূয়া অফিসারদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। সাদা খাতায় পরীক্ষা নিয়ে কাকনকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে জানানো হয় এক মাসের মধ্যে চাকুরি হবে। পরে প্রতারক চক্রটি কাকন মিয়ার ঠিকানায় ডাক যোগাযোগে সেনাবাহিনীর চাকুরির নিয়োগপত্র পাঠায়।

 

সেনা সদস্য কিউ এম জি’র শাখা পূর্ত পরিচালক ও প্রধান প্রকৌশলী (সেনা) ঢাকা সেনানিবাস, টেলিঃ সাময়িক ৮৭৫০০১১, বর্ধিত ২৮৭০ বেসামরিক দপ্তরে যেতে বলে। যোগাযোগ করলে সেনা দপ্তর থেকে জানানো হয় এটি ভূয়া নিয়োগপত্র এবং ওই চক্রটি প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বিষয়টি গাজির পরিবারকে জানানো হলে তারা আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং এক স্বাক্ষীকে হামলা করে আহত করে। তারা এখন হত্যার হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

 

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত গাজিবুর রহমান গাজির মুঠোফনে জানান, চাকুরি প্রত্যাশী কাকন মিয়ার পরিবার জুয়েল রানার সাথে যোগাযোগ করে। আমরা ঔ সময় টাকা দিতে না করেছিলাম। তবুও তারা টাকা দিয়েছে। টাকা ফেরত পেতে আমার পরিবারকে চাপ দিচ্ছে। এর মূলহোতা জুয়েল রানা বলে দাবি করেন গাজির পরিবার।

তবে জুয়েল রানার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে না পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা আসলাম হোসাইন বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপর উপজেলা অনসার ভিডিপি কর্মকর্তাকে তদন্তের জন্য বলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *