
মধুপুর প্রতিনিধি: মানুষ আশা নিয়ে বাঁচে। দুঃখের পরে সু-সংবাদ পাওয়ার প্রত্যাশায় থাকে। পরের দিন সকালে হয়ত কোন সুসংবাদ আসবে এমন আশায় আগের দিন কাটে। কিন্তু আদিবাসীদের জীবনে কোন সুসংবাদ নাই বলে মন্তব্য করেছেন নাট্য ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ।
বুধবার দুপুরে মধুপুর উপজেলার বনাঞ্চলের ভূটিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিশ্ব আদিবাসী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মামুনুর রশীদ এমন মন্তব্য করেন। মধুপুর বন দখল হওয়ার দিকটি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, মধুপুর বন যেন মাংসের টুকরা। যে যখন পারছে তখন কামড় দিচ্ছে। তিনি বলেন, বনে বসবাসকারী মান্দি গারোদের ঠেলতে ঠেলতে আমরা সীমান্তের উপারে পাঠিয়ে দিয়েছি।
এর আগে প্রথম আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসার পর অশান্ত পার্বত্য অঞ্চলে শান্তির জন্য যে চুক্তি হয়ে ছিল সে সম্পর্কে তিনি বলেন, কত বছর হয়ে গেলো তার কোন বাস্তবায়ন হয়নি। আইওয়াশের জন্য দু একটি বাস্তবায়ন হলেও হতে পারে। আসল সমস্যা ভূমি সমস্যা থেকে গেছে। তিনি বলেন, আইএলও কনভেনশনের শর্ত মতে দীর্ঘকাল যে জমিতে দখলী সত্ত্বে বসাবাস করবে সেইই হবে জমির মালিক। সেটা মানা হচ্ছে না। জমির মালিকা না থাকায় অভাবে ব্যাংক থেকে গারোরা ঋণের সুবিধা পাচ্ছে না।
জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নকরেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন গারো গবেষক থিউফিল নকরেক। এছাড়া, বক্তৃতা করেন মধুপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু, উদ্বোধক গারো নেতা অজয় এ মৃ, তরুণ গারো নেতা এডভোকেট জনযেত্রা, জিএসএফ কেন্দ্রিয় সভাপতি প্রলয় নকরেক।
অন্যদিকে পৃথক কর্মসূচিতে পীরগাছা সেন্ট পৌল্স হাই স্কুল মাঠে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী গারোদের আরেকটি অংশ আদিবাসী দিবস পালন করেছেন। ওই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ট্রাইবাল ওয়েলফার এসোসিয়েশন মধুপুরের একটি শাখার চেয়ারম্যান উইলিয়াম দাজেল। সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মানখিনের সঞ্চালনায় এতে বক্তৃতা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইয়াকুব আলী, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. মীর ফরহাদুল আলম মনি, উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান যষ্ঠিনা নকরেক, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক খন্দকার আলমগীর হোসেন শিমুল, মহিলা আ’লীগ নেতা শান্তি সাংমা প্রমুখ।