সময়তরঙ্গ ডেক্স: বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুর কাছে যমুনা নদীর পূর্ব পাশে তোলা হয়েছে থ্রি স্টার মানের বঙ্গবন্ধু সেতু রিসোর্ট (Bangabandhu Setu Resort)। এই রিসোর্টের পূর্ব নাম ছিল যমুনা রিসোর্ট (Jamuna Resort)। টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ জেলার মাঝামাঝি স্থানে যমুনা নদীর তীরে এই রিসোর্টটি অবস্থিত।
যমুনা রিসোর্টে রয়েছে জিম, হেলথ ক্লাব, সুইমিংপুল, বেকারি, ফরেন মানি এক্সচেঞ্জ এবং স্যুভেনির শপ। খেলাধুলার সুবিধা হিসাবে এখানে ফুটবল, হকি, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন ও দাবার ব্যবস্থা আছে। থাকার জন্য বঙ্গবন্ধু সেতু রিসোর্টে রয়েল সুইট, ডিলাক্স এক্সিকিউটিভ সুইট, ২ ও ৩ বেডরুমের কটেজ, ডরমিটরি এবং এক্সট্রা বেড সুবিধাও রয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু রিসোর্টে একসাথে ১৫০ জন মানুষের বসে খাবার গ্রহনের একটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এই রেস্টুরেন্টে সকাল, দুপুর এবং রাতের খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নামে দুইটি হলরুম আছে। প্রত্যেকটি হলরুম ২০০ মানুষের ধারণক্ষমতা সম্পন্ন। এছাড়া যমুনা রিসোর্টে নৌভ্রমণ ও রিসোর্টের সাইট ভ্রমণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু রিসোর্টের প্যাকেজ: বিশেষ উৎসব উপলক্ষে যেমন ঈদ, পহেলা বৈশাখ এবং থার্টিফার্স্ট নাইটে এখানে বিভিন্ন প্যাকেজ চালু থাকে। যার মাথাপিছু খরচ নির্ধারণ করা হয় প্যাকেজ ভেদে ৪০০০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া পিকনিক, গেট টুগেদার, ডিজে পার্টি এবং অফিসিয়াল অনুষ্ঠানের জন্য যমুনা রিসোর্টে সকল ব্যবস্থা রয়েছে। যেখানে ৪০ থেকে ১০০০ জনের পিকনিক আয়োজনের খরচ প্যাকেজ ভেদে ২০,০০০ টাকা থেকে ১,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
কিভাবে যাবেন: ঢাকার গাবতলী ও মহাখালী থেকে টাঙ্গাইলের বাসে কম খরচে যমুনা রিসোর্টে যাওয়া যায়। কমলাপুর কিংবা বিমানবন্দর রেল স্টেশন থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর আগের স্টেশনে থামে এমন ট্রেনে করেও আসতে পারবেন। রেল স্টেশন থেকে পায়ে হেটে কিংবা রিকশা যোগে যমুনা রিসোর্টে যেতে পারবেন ভ্রমণকারীরা। এছাড়া বাসে করে ভূঞাপুর উপজেলা গেইট নেমে সেখান থেকে সিএনজি কিংবা রিক্সা ভাড়া করে যমুনা সেতু সংলগ্ন যমুনা রিসোর্ট আসতে পারবেন।
বঙ্গবন্ধু সেতু রিসোর্টে যোগাযোগ: কর্পোরেট অফিস: প্রগতি ইন্স্যুরেন্স ভবন (৭ম তলা) ২০-২১ কাওরান বাজার, ঢাকা ১২১৫।
মোবাইল: 01715-852997, 01975-852997
ফেইসবুক: www.facebook.com/jamunaresort
ওয়েবসাইট: www.jamuna-resort-hotel.business.site