মির্জাপুর প্রতিনিধি: মির্জাপুর উপজেলায় গ্রামের ভেতর দিয়ে যাওয়া একটি আঞ্চলিক সড়কের পৌনে দুই কিলোমিটারের মধ্যে ১২টি গতিরোধক (স্পিড ব্রেকার) দেওয়া হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে এসব গতিরোধক দেওয়া হলেও গ্রামের রাস্তায় তা প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে দেখা দিচ্ছে। ওই সড়কে চলাচলকারী স্থানীয়রা অপ্রয়োজনীয় গতিরোধক তুলে দেওয়ার দাবি করেছেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার কদিমধল্যা বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রামের ভেতর দিয়ে যাওয়া জনগুরুত্বপূর্ণ ছাওয়ালি বাজার আঞ্চলিক সড়কটি। ছাওয়ালি বাজার থেকে সড়কটি মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের সামনে দিয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ডুবাইল এলাকায় মিলিত হয়েছে।
এছাড়া ছাওয়ালি বাজার থেকে সড়কটি উপজেলার ফতেপুরের দিকে এবং বাসাইল উপজেলা সদরের দিকে গেছে। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন শত শত ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সড়কটির কদিমধল্যা থেকে বানিয়ারা বাজার পর্যন্ত পৌনে দুই কিলোমিটার এলাকা। এ পৌনে দুই কিলোমিটার সড়কে উঁচু ও চওড়া করে ১২টি গতিরোধক দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে দেওয়া এসব গতিরোধকের কারণে এসকল স্থানে প্রতিদিনই কিছু না কিছু দুর্ঘটনা ঘটছে। গতিরোধকগুলো সহজে চোখে পড়ার জন্য বিভিন্ন রং দিয়ে চিহ্নিত থাকার কথা থাকলেও তা নেই। ফলে যানবাহন চালকরা অনেক সময় গতিরোধকগুলো খেয়াল করতে পারেন না। যে কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। হেঁটে যাওয়ার সময়ও মাঝে মধ্যে এসব গতিরোধক চোখে না পরার ফলে হোঁচট লেগে আঘাত পান পথচারী।
আদাবড়ি গ্রামের ব্যবসায়ী ফরহাদ হোসেন বলেন, অপ্রয়োজনীয় গতিরোধকগুলো ভালোর চেয়ে খারাপই হচ্ছে। আমি নিজেই মাকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে উপজেলা সদরে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছি। আমার মতো আরও অনেকে এ সড়ক দিয়ে চলার সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে বলে শুনেছি।
বানিয়ারা গ্রামের কবির মিয়া জানান, বিশেষ করে রাস্তার পাশে স্কুল, মাদরাসা ও মসজিদ থাকলে গতিরোধক দেওয়া হয়। কিন্তু এ পৌনে দুই কিলোমিটার এলাকার মধ্যে একটি মসজিদ ও একটি বাজার রয়েছে। তাই এ রাস্তায় এতো গতিরোধক অপ্রয়োজনীয়।
মহেড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বাদশা মিয়া বলেন, ওই সড়কের গতিরোধকগুলো অপরিকল্পিতভাবে করার ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। গতিরোধকের সংখ্যা কমালে সড়ক দিয়ে চলাচলকারী মানুষ উপকৃত হবে।
মির্জাপুর উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুর রহমান বলেন, ওই সড়ক দিয়ে বেপরোয়াভাবে মাটি বহনকারী গাড়ি চলাচল করতো। এসব গাড়ির কারণে কিছু দুর্ঘটনাও ঘটেছে। গতিরোধকগুলো দেওয়ার পর দুর্ঘটনার পরিমাণ অনেক কমে গেছে।