নিজস্ব প্রতিবেদক: সখীপুর উপজেলায় রুনা আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধূকে হ’ত্যা’র অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বিকেলে হ’ত্যা’র প্রতিবাদ ও হ’ত্যা’কারীদের গ্রে’প্তারের দাবিতে নি’হতের লা’শ নিয়ে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে তার স্বজনরা।
সোমবার রাতে উপজেলার কচুয়া গ্রামে স্বামীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নি’হত রুনা আক্তার কচুয়া গ্রামের দেওয়ান সাব্বিরের স্ত্রী এবং বাসাইল উপজেলার দেওলী গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলামের মেয়ে।
পরে মঙ্গলবার দুপুরে নি’হতের লা’শ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। নি’হতের স্বজনরা জানান, প্রায় আড়াই বছর আগে ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে সাব্বির ও রুনা আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের ৬ মাসের কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই সাব্বির রুনার কাছে আরও টাকা দাবি করতো। বিশেষ করে সন্তান জন্ম হওয়ার পর থেকে টাকা চাওয়ার মাত্রা আরো বেড়ে যায়। টাকা না দিলে রুনাকে হ’ত্যা’র হুমকি দেয়া হতো। কয়েক দফায় সাব্বিরকে ৪ লাখ টাকা দেয়া হয়। সর্বশেষ গত মাসেও ২ লাখ টাকা দাবি করেন সাব্বির।
নি’হতের নানা মুকলেছুর রহমান জানান, স্বামীর পরিবার পক্ষ থেকে সোমবার রাতে জানানো হয় রুনা আক্তার আত্মহ’ত্যা করেছে। আমার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি রুনা একটি খাটের মধ্যে শুয়ে রয়েছে। তার মুখে বালিশের চাপ এবং গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিলো।
নি’হতের বাবা রফিকুল ইসলাম জানান, আমার মেয়েকে তার স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি, জা-ভাসুররা মিলে হ’ত্যা করেছে। আমরা এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের দাবি করছি। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোঃ শরফুদ্দীন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ নি’হতের লা’শ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এই রির্পোট পেলে বুঝা যাবে এটি হ’ত্যা না আত্ম’হ’ত্যা।