মির্জাপুর প্রতিনিধি: মির্জাপুর উপজেলার আজগানা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের সিকদারের বিরুদ্ধে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থ আত্মসাত ও অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে পরিষদের ৮ জন সদস্য। ন্যায় বিচার চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদনও করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের ৮ সদস্য।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল কাদের সিকদার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই পরিষদে সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাত করছেন। টিআর, কাবিখা, এডিপি, এলজিএসপির ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে অর্থ আত্মসাত করছেন। তাছাড়া মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রেও কমিশন নিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
পরিষদের মেম্বারদের সাথে সমন্বয় না করে নিজের ইচ্ছামতো তিনি সকল কাজ করেন। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে আইন আদালতের ভয় দেখানো হয় বলেও অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। পরিষদের নারী সদস্যদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অর্থ আত্মসাত ও অনিয়মের বিচার চেয়ে পরিষদের আটজন সদস্য গত সোমবার, ১৭ জুলাই টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আবুল হোসেন বলেন, আমি তিনবারের মেম্বার। মেম্বারদের এত অবমূল্যায়ন করা হয় আমি এর আগে দেখিনি; এই চেয়ারম্যানের বেলায় দেখছি। তিনি একক সিদ্ধান্তে সব কাজ করেন। কারও সাথে কোন সমন্বয় নেই। তিনি জানান, তার ভয়ে অর্থ আত্মসাত ও অনিয়মের ব্যাপারে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।
আজগানা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের সিকদার তার বিরুদ্ধে করা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি এক বছর। এর মধ্যে যত কাজ করেছি সবই দৃশ্যমান। এতে বিন্দুমাত্র অনিয়ম হয়নি এবং আমি কোন প্রকার অর্থ আত্মসাত করিনি। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হলে স্বেচ্ছায় চলে যাবেন বলে তিনি জানান।
টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক শামীম আরা রিমির সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেন। তবে অভিযোগ প্রসঙ্গে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।