নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি এমপি বলেছেন, নির্বাচন আসলেই বিএনপি নানান ষড়যন্ত্র করে। মিথ্যা বলে নানানভাবে অর্থ আনে কোথা থেকে এই অর্থ আনে আল্লাহ ভালো জানে। ওরা (বিএনপি) বলে ক্ষমতায় নাই দীর্ঘদিন, কিন্তু টাকার পাহাড় তো কম না। লন্ডনে বসে আছে তারেক জিয়া বছরের পর বছর। আমরা বেড়াতে গেলে সাত দিনের টাকাই আমাদের থাকে না। তারা (বিএনপি) এ দেশের টাকা আত্মসাৎ করে বছরের পর বছর বিদেশে বসে থাকে। দেশ প্রেম যদি থাকতো তাহলে তারেক জিয়া দেশে ফিরে আসতো।
তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন দেশের বাহিরে গিয়েছিল তখন বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হয়নি, অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। তখন প্রধানমন্ত্রী বলছিলেন- যত মামলা দেন, হামলা করেন, জেলখানায় দেন আমি বাংলার মাটিতে ফিরে আসবোই। যারা (বিএনপি) নানান ধনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, যারা (বিএনপি) বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীকে দূষণ করেছে মদদ দিয়েছিল। যারা এই দেশের রাজাকার আল বদরদের সম্মান দিয়েছিল আজকে তাদের মুখে বড় বড় কথা। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে কি গণতন্ত্র দেখিয়েছিল সে তো মিলিটারির একজন বড় অফিসার ছিল। এই অফিসার তো হতে পারত না।
মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই বিকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে আয়োজিত টাঙ্গাইল জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের কর্মী সভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এই দেশ স্বাধীন করছিল বলেই সে একজন বড় অফিসার হয়েছে। অথচ বঙ্গবন্ধুর হত্যার পরে বিএনপি ক্ষমতায় চলে আসলো। তখন জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি ও সেনাবাহিনীর প্রধান ছিল। এটা সংবিধানের কোন জায়গায় নাই। সে সংবিধানকে বায়োলেট করে ক্ষমতা চলে এসেছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যা হয়ে গেল বিচার তো নেই।
মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, জিয়াউর রহমান কালো আইন তৈরি করে ফেললো যাতে এই বাংলার মাটিতে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার না হয়। জাতীয় চার নেতাকে জেলখানার ভিতরে হত্যা করল। চিরতরে আওয়ামী লীগকে শেষ করে দেওয়ার জন্য। ২১শে আগস্টে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে শেষ করে দেওয়ার জন্য গ্রেনেড হামলা করেছিল। বিএনপির রাজনীতি হল সন্ত্রাসের রাজনীতি। তারা কি ভুলে গেছে আজকে তারা গণতন্ত্রের কথা বলে, তারা নাকি রাজপথ কপাতে চায়। কিসের জন্য বিদেশিদের কাছ থেকে মদত পায়।
তিনি আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা হলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা আত্মবিশ্বাসী নেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছে তিনি পারেন এই দেশের রাজাকার আল বদরদের বিচার করেছেন। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের বিচার করেছেন। তিনি বাংলার মানুষকে মানবতার নেত্রী হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিত করে আমাদের সম্মানিত করেছেন। দেশকে আজকে উন্নতির দেশে হিসেবে নিয়ে গেছেন। আমরা তার সৈনিক মহিলা আওয়ামী লীগ। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে সব সময় আছি।
টাঙ্গাইল জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছিমা বাছিতের সভাপতিত্বে আহসানুল ইসলাম টিটু এমপি, খান আহমেদ শুভ এমপি, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শবনম জাহান শিলা এমপি, খন্দকার মমতা হেনা লাভলী এমপি, অপরাজিতা হক এমপি, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌসী আক্তার রুনুসহ কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগ, জেলা-উপজেলা, শহর মহিলা লীগের নেত্রীবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।