যমুনায়-শাখা-নদ-নদীর-পানি-বৃদ্ধি-অব্যাহত

যমুনায় শাখা নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত: দুর্ভোগে চরাঞ্চলবাসী

পরিবেশ ফিচার ভূঞাপুর

ভূঞাপুর প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলেও তা কমতে শুরু করছে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণে মাসখানেক ধরে। তবে, যমুনার অন্যান্য শাখা নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। যার ফলে পানি কমলেও জেলার চরাঞ্চলবাসীর দুর্ভোগ কমেনি। টাঙ্গাইল জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নূরুল আমিন মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত জানান ।

 

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, সোমবার, ১৭ জুলাই সকাল ৯টা থেকে মঙ্গলার, ১৮ জুলাই সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানি পোড়াবাড়ী পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৪১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এরআগে বিপদসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়।

 

এছাড়া ধলেশ্বরী নদীর পানি এলাসিন পয়েন্টে ১ সেন্টিমিটার, কাউলজানী পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার, বংশাই নদীর পানি মধুপুর পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার, মির্জাপুর পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার ও ফটিকজানি নদীর পানি নলচাপা পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব নদীরগুলোর পানি বিপদসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

 

এদিকে, ঝিনাই নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি পোড়াবাড়ি পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৪১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

 

ভূঞাপুর উপজেলার অর্জুনা ইউনিয়নের জগৎপুরা চরাঞ্চল এলাকার বাসিন্দা মোঃ মোফাজ্জল হোসেন সরকার জানান, যমুনা নদীর পানি গত দুইদিন ধরে কমতে শুরু করলেও এখনো চরাঞ্চলের ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে আছে। পচে নষ্ট হয়ে গেছে বিভিন্ন ধরণের শাক-সবজি। যার ফলে দুর্ভোগ ও ভোগান্তি কাটেনি চরাঞ্চলবাসীর।

অপরদিকে, কয়েকটি উপজেলায় নদী ভাঙ্গন অব্যাহত আছে। টাঙ্গাইল জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নূরুল আমিন জানান, গত সোমবার থেকে যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করছে। দুই দিনে পানি কমে বিপদসীমার ৪১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে, জেলার অন্যান্য নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও বিপদসীমার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *