নিজস্ব প্রতিনিধি: টাঙ্গাইল এলজিইডি ২০২২-২৩ অর্থবছরে রোলার মেশিন ভাড়া দিয়ে দেশের সকল জেলাগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ রাজস্ব আয় করেছে। টাঙ্গাইল এলজিইডির নিয়ন্ত্রণে ২৬১ কোটি ৮ লাখ ৫ হাজার ৯০৬ টাকার উন্নয়ন কাজের বিপরীতে রোলার মেশিন ভাড়া দিয়ে গত জুলাই থেকে এ বছরের জুন পর্যন্ত ২ কোটি ২৬ লাখ ১৯ হাজার ৫৩ টাকা আয় হয়েছে।
টাঙ্গাইল এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের জুলাই মাসে ১৭ কোটি ৯১ লাখ ৮০ হাজার ৭৭ টাকার উন্নয়ন কাজের বিপরীতে রোলার মেশিন ভাড়ায় ১২ লাখ ৩৩ হাজার ৮৪১ টাকা আয় হয়েছে। আগস্ট মাসে নয় কোটি ৩৬ লাখ ১৩ হাজার ৭৩২ টাকার উন্নয়নের বিপরীতে রোলার মেশিন ভাড়ায় তিন লাখ ৪১ হাজার ৪০৮ টাকা আয় হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে নয় কোটি ২৪ লাখ ১৫ হাজার ৯৯০ টাকার উন্নয়ন কাজের বিপরীতে রোলার মেশিন ভাড়ায় ১০ লাখ ৩৭ হাজার ১৪৭ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। একইভাবে অক্টোবর মাসে আট কোটি ৮১ লাখ ৫৬ হাজার ৭৪০ টাকার বিপরীতে পাঁচ লাখ ৪২ হাজার ৩৭৬ টাকা। নভেম্বর মাসে ১৫ কোটি ৪৫ লাখ ৯০ হাজার ৮৮৮ টাকার বিপরীতে আয় ১২ লাখ ৪৫ হাজার ৩৪৮ টাকা। ডিসেম্বর মাসে নয় কোটি ৭৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬৩০ টাকার বিপরীতে ১৫ লাখ ৬৫ হাজার ৫৫৭ টাকা আয় হয়েছে।
জানুয়ারি মাসে ২০ কোটি ৬৪ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪৬ টাকার উন্নয়ন কাজের বিপরীতে ১৯ লাখ ৪৪ হাজার ৭৩১ টাকা রোলার মেশিন ভাড়ায় রাজস্ব আয় হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে ১৫ কোটি নয় লাখ ৬১ হাজার ৯৪৪ টাকার বিপরীতে আয় ১৩ লাখ ১৭ হাজার ৬৬৮ টাকা। মার্চ মাসে ৫২ কোটি ৯৫ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪৫ টাকার বিপরীতে আয় হয়েছে ৫১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৩৩ টাকা। এপ্রিল মাসে ৪৩ কোটি ২৫ লাখ ৭২ হাজার ৫৩৮ টাকার বিপরীতে আয় হয়েছে ৩৪ লাখ ৩৯ হাজার ২৮২ টাকা। মে মাসে ১৪ কোটি ৫৭ লাখ ৭২ হাজার ৫৪২ টাকার বিপরীতে আয় হয়েছে ১৪ লাখ ৮২ হাজার ৬৪০ টাকা এবং জুন মাসে ৪৩ কোটি ৯৬ লাখ ৬১ হাজার ১৩৪ টাকার উন্নয়ন কাজের বিপরীতে রোলার মেশিনের ভাড়া হিসেবে ৩২ লাখ ৭৫ হাজার ২২২ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে।
এলজিইডির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এস এম জাহাঙ্গীর এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী জাহাঙ্গীর আলম জানান, টাঙ্গাইল এলজিইডির ফোরম্যান খুবই তৎপর। রাস্তার কাজের জন্য রোলার মেশিন চাইলে তিনি আশপাশে থাকা মেশিনই সাইটে পাঠিয়ে দেন। এতে রোলার মেশিনের জন্য কাজ বন্ধ রাখতে হয় না এবং বাড়তি খরচও গুনতে হয় না।
টাঙ্গাইল এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মোঃ বিপ্লব হোসেন জানান, গত জুলাই থেকে এ বছরের জুন পর্যন্ত টাঙ্গাইল এলজিইডি রোলার মেশিন ভাড়া দিয়ে ২ কোটি ২৬ লাখ ১৯ হাজার ৫৩ টাকা রাজস্ব আয় করে সারাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায়ের অনন্য নজির স্থাপন করেছে। এক্ষেত্রে প্রায় ১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা আয় করে দেশের জেলাগুলোর মধ্যে ফরিদপুর এলজিইডি দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
টাঙ্গাইল এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, রোলার ভাড়ার মাধ্যমে টাঙ্গাইলে সর্বোচ্চ পরিমাণ রাজস্ব আয় হয়েছে। সঠিক দিকনির্দেশনা মেনে প্রতিষ্ঠানের যান্ত্রিক বিভাগে দ্বায়িত্বপ্রাপ্তরা রোলার মেশিনগুলোর সার্বক্ষণিক ব্যবহার নিশ্চিত করায় এ আয় করা সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া টাঙ্গাইল এলজিইডি ল্যাব টেস্টের মাধ্যমেও এবছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রাজস্ব আয় করেছে।