ঘাটাইল প্রতিনিধি: ঘাটাইল উপজেলায় চায়না জালের ফাঁদে বিভিন্ন নদ নদীতে ধরা হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছ। দিনের বেলাতেই অবৈধ এই জাল দিয়ে চলছে মাছ শিকারের মহোৎসব। ঘাটাইল উপজেলার সর্বত্রই অবাদে চায়না জালের ব্যবহার বেড়ছে। এতে হুমকির মুখে পড়ছে দেশীয় প্রজাতির মাছ। মৎস্যজীবীরা বলছেন, পোনা থেকে শুরু করে ছোট বড় কোনো মাছই ছাড়া পায় না চায়না জাল থেকে। অবৈধ এই জাল বন্ধ না হলে আগামীতে দেশীয় প্রজাতির মাছ খুঁজে পাওয়া যাবে না। হুমকিতে পড়বে জলজ উদ্ভিদ ও জীববৈচিত্র্য।
এলাকাবাসী জানান, নদীর বিভিন্নস্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল। পোনা থেকে শুরু করে ছোট বড় কোনো মাছই এই জাল থেকে ছাড়া পায় না। শুধু নদীতেই নয়, খাল-বিল ও ভরা জলাশয়ে একই কৌশলে মাছ ধরা হচ্ছে।
উপজেলার ধলাপাড়া, দেওপাড়া ও গাংগাইর এলাকার মৌসুমি জেলেরা জানান, চায়না জালের ব্যবহার বাড়ায় সাধারণ জাল দিয়ে তারা আগের মতো মাছ পান না। এটি বন্ধ না হলে দেশিয় মাছ বিপন্ন হওয়ার পাশাপাশি ক্ষতির মুখে পড়বে জলজ উদ্ভিদ ও জীববৈচিত্র্য। তাছাড়া এই জালে সাপ, ব্যাঙ, মাছ, মাছের ডিম সব কিছু ধরা পড়ে।
উপজেলার হামিদপুর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি চায়না দুয়ারী জাল বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। যারা এই অবৈধ জাল আমদানি করছে এবং বিক্রি করছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান জেলেরা।
ঘাটাইল উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোছা. খাদিজা খাতুন জানান, চায়না দুয়ারী জাল এক ধরনের ফাঁদ। এর মধ্যে রেণু পোনাসহ মা মাছ ও প্রাকৃতিক জলজ প্রাণী আটকা পড়ে। এটি বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি। এছাড়া আমাদের জনপ্রতিনিধিদেরও নিষিদ্ধ এ জাল বন্ধে জেলেদের উদ্বুদ্ধ করতে পরামর্শ দিয়েছি।