মির্জাপুর প্রতিনিধি: মির্জাপুর উপজেলায় এক মানসিক প্রতিবন্ধী নারীর প্রসব করা নবজাতকের ঠাঁই হয়েছে কুমুদিনী হাসপাতালে। আজ বুধবার সকালে উপজেলা সদরের মির্জাপুর পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের পাশে ওই নারী কন্যাশিশুর জন্ম দেন। তবে নবজাতকের বাবা কে, তা জানা যায়নি।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, আজ প্রাতঃভ্রমণে বের হন উপজেলা সদরের বাওয়ার কুমারজানী গ্রামের মজিরন বেগমসহ কয়েকজন গৃহবধূ। তাঁরা ওই এলাকায় রাস্তার পাশে নবজাতকসহ প্রতিবন্ধী ওই নারীকে দেখতে পান। এগিয়ে গিয়ে তাঁরা বুঝতে পারেন তিনি মাত্র সন্তান প্রসব করেছেন। এ সময় ওই রাস্তায় চলাচলকারী আরও অনেকেই সন্তানসহ ওই নারীকে দেখতে আসেন।
মজিরন বেগম বলেন, তিনি নবজাতকের পরিচর্যা করার জন্য প্রতিবন্ধী নারীর কাছে যান। কিন্তু তিনি তাঁকে সেখান থেকে সরিয়ে দেন। নারীটিকে বুঝিয়ে স্থানীয় ব্যক্তিদের কয়েকজন সকাল ৯টার দিকে শিশুটিকে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিলা বিনতে মতিনের কাছে নিয়ে যান। ইউএনও তাকে কোলে তুলে নেন। পরে ইউএনও শিশুটিকে চিকিৎসা ও পরিচর্যার জন্য কুমুদিনী হাসপাতালে পাঠান। পরে পুলিশের সহায়তায় সদ্য মা হওয়া প্রতিবন্ধী নারীকেও কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কুমুদিনী হাসপাতালের উপ-মহাব্যবস্থাপক অনিমেষ ভৌমিক বলেন, ইউএনও মা এবং নবজাতককে হাসপাতালে পাঠান। নবজাতককে হাসপাতালের শিশু বিভাগে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। মা ও শিশু এখন আমাদের তত্ত্বাবধানে সুস্থ আছে।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম বলেন, মানসিক প্রতিবন্ধী ওই নারী কবে মির্জাপুর এসেছেন তা কেউ বলতে পারেনি। যে নারী নবজাতককে ইউএনও অফিসে নিয়ে এসেছেন তিনিও তাকে এর আগে দেখেননি। নাম জিজ্ঞাসা করলে মানসিক প্রতিবন্ধী ওই নারী তিনটি নাম বলেছেন। হাসপাতালের রেজিস্টার খাতায় নাজমা। পরে আবার জিদলী এবং তিথি নামও বলেছেন। বাবার নাম বলেছেন মশিউর রহমান, বাড়ি বরিশাল। এর চেয়ে বেশি আর কিছু বলেননি। তবে হাসপাতালে রেখেই তাঁর আসল পরিচয় খোঁজ করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিলা বিনতে মতিন বলেন, মানসিক প্রতিবন্ধী ওই নারী সঠিকভাবে কথা বলছেন না। আমরা তার পরিচয় জানার চেষ্টা করছি। পরিচয় না পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।