বিনোদন ডেক্স: ইতিমধ্যে ‘সুড়ঙ্গ’ দিয়ে হলে দর্শকের উপচে পড়া ভিড়ই প্রমাণ করে ভালো সিনেমাকে সবসময়ই গ্রহণ করেন সিনেমাপ্রেমীরা। নির্মাতা রায়হান রাফীর হাত ধরে অভিনেতা আরফান নিশো সুড়ঙ্গ-এর মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক করে সফলতার ছাপ রেখেছেন। এখানেও যে তিনি তার দক্ষ অভিনয়ে দর্শকের হৃদয় ছুঁয়েছেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
দীর্ঘদিন আইসিইউতে থাকা সিনেমা হলগুলোতে যেন প্রাণ ফিরেছে এবারের ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমার মাধ্যমে। ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমাটির প্রতিটি চরিত্রেরই প্রাণ কেন্দ্র ছিল গল্প। এ সিনেমায় নিশোর বিপরীতে অভিনয় করেছেন তমা মির্জা। ওটিটি সিনেমা কিংবা ওয়েব সিরিজ দিয়ে নিজেকে অনেক আগেই মেলে ধরেছেন তিনি।
সিনেমাটিতে এবার তারই রেষ দেখা গেল। প্রেম, রহস্য, বাস্তবতা আর জীবনের সত্য ঘটনাই ফুটে উঠেছে সুড়ঙ্গে। যদিও নতুন কিছু নয় এর আগেও একাধিক সিনেমার গল্পে এমনটার দেখা মিলেছে তবে, মাঝ পথে তা থেমে গিয়েছিল। বেশ কয়েক বছর ধরেই নতুন করে বাংলা সিনেমার পাখা মেলেছে। অনবদ্য এই উড়াউড়ি চলুক এমনটাই চাচ্ছেন দর্শকরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমার অধিকাংশ শো হাউসফুল যাচ্ছে। ঈদুল আজহা উপলক্ষে সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে ২৮টি সিনেমা হলে। তবে সিনেমাটি মুক্তির দ্বিতীয় দিনে দর্শকদের ভিড় ও চাপের জন্য ১৫টি শো বাড়ানো হয়েছে মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে। ঈদের দিন মাল্টিপ্লেক্সগুলোর সাতটি শাখায় ৯টি শো ছিল। দ্বিতীয় দিনে শো ছিল মূলত ১৮টি। কিন্তু দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়ের জন্য ১৫টি শো বাড়ানো হয়েছে।
দেশের গণ্ডি পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন ছোট পর্দার অভিনেতা আফরান নিশো। তার অভিনীত নাটক, ওয়েব সিরিজগুলো ব্যাপক দর্শকপ্রিয় হয়ে উঠেছে ওপার বাংলায়। সেসকল দর্শকের কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশের পাশাপাশি ‘সুড়ঙ্গ’ মুক্তি পাবে পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাগৃহেও। ইতোমধ্যে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পশ্চিমবঙ্গের খ্যাতিমান প্রযোজনা ও পরিবেশক প্রতিষ্ঠান শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস।
নির্মাতা রায়হান রাফী এ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এটা সত্যিই ভীষণ আনন্দের খবর। ‘সুড়ঙ্গ’ কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাগৃহগুলোতেও দেখা যাবে। আমরা আশা করছি সেখানে ভালো সাড়া পাব।
উল্লেখ্য, পর্দায় সুড়ঙ্গ সিনেমায় নিশোর বিপরীতে দেখা যাবে তমা মির্জাকে। চরকি ও আলফা আইয়ের যৌথ প্রযোজনায় সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন রায়হান রাফী। সেই সঙ্গে যৌথভাবে চিত্রনাট্য লিখেছেন নাজিম উদ দৌলা ও রায়হান রাফী।