নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদ শেষে ঘরমুখো মানুষের কর্মস্থলে ছুটার ফলে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে অতিরিক্ত পরিবহনের চাপ বেড়েছে। এ মহাসড়কে ঢাকা ও উত্তরবঙ্গের দূরপাল্লার পরিবহন স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করলেও কিছু কিছু পরিবহন বেপরোয়া গতিতে চলাচল করায় বিভিন্ন সময়ে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটায় যানজট ও ধীরগতি সৃষ্টি হচ্ছে।
মঙ্গলবার, ৪ জুলাই বেলা ১২টার দিকে মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার জোকারচর এলাকায় প্রাইভেটকার ও শিশু খাদ্যবহনকারী লরি ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। তবে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব টোলপ্লাজা থেকে এলেঙ্গা মহাসড়কে প্রায় ৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে যানজটের।
এদিকে, মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হওয়ায় ঢাকা ও উত্তরবঙ্গমুখী পরিবহনগুলো বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব-ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কে চলাচল করছে। এতে আঞ্চলিক সড়কের পাথাইলকান্দি, মাটিকাটাকা, গোবিন্দাসী টি-রোড ও ভূঞাপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকাসহ দুপুর সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে পরিবহনের যানজটের ফলে ধীরগতি দেখা যায়।
সাভারগামী পোশাক শ্রমিক জাহানারা বেগম ও রওশন খাতুন বলেন, মহাসড়কের জোকারচর এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেতু পার হয়ে পূর্ব টোল প্লাজায় দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থাকার পর ভূঞাপুরের পথে প্রবেশ করে বাসটি। পরে ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছলে সেখানে প্রায় আধা ঘণ্টার মতো যানজটের কবলে পড়তে হয়।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনজার্জ জাহিদ হাসান ও বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক নাজমুল হোসেন বলেন, জোকারচর বাসস্ট্যান্ডে একটি দুর্ঘটনা ঘটে। এতে মহাসড়কে কিছু এলাকাজুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন হয়। পরে দুর্ঘটনা কবলিত পরিবহন দ্রুত সরানোর পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয় আসে ।