বুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আল আমিন

বুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আল আমিনকে ডিসি ও ইউএনও’র সহায়তা প্রদান

জাতীয় টাঙ্গাইল ফিচার শিক্ষা সখিপুর

সখীপুর প্রতিনিধি: বুয়েটে চান্স পেয়েও ভর্তি হতে পারছে না আল আমিন শিরোনামে বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ায় ও অনলাইন সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদ প্রকাশের পর টাঙ্গাইল জেলার জেলা প্রশাসক, সখীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওই মেধাবী ছেলের বুয়েটে ভর্তি বিষয়ে অর্থিক সহায়তার করেছেন।

বৃহস্পতিবার ২২ জুন ব্যক্তিগত তহবিল থেকে সখীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা আলম ২০ হাজার টাকা, ওই দিন সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার ২০ হাজার টাকা এবং হাতিয়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ রহিজ উদ্দিন ৫ হাজার টাকাসহ মোট ৪৫ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান আল আমিনের হাতে তুলে দেন।

এছাড়াও সখীপুর-বাসাইলের সাবেক সংসদ সদস্য অনুপম শাহজাহান জয় প্রতি মাসে আর্থিক সহযোগিতা, শ্রীপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার নূর মোহাম্মদ ভর্তি বাবদ সকল খরচ প্রদানের কথা জানান।

সখীপুরের কৃতিসন্তান, বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ডেসকোর পরিচালক প্রকৌশলী আতাউল মাহমুদ সামাজিক মাধ্যমে লিখেন, বুয়েট এল্যুমনাই শুধু অর্থনৈতিক নয়, যে কোন প্রয়োজনে পাশে থাকবে। আল আমিনের মত মেধাবীরা সখীপুর থেকে বেরিয়ে আসুক এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

উপজেলা সাবেক মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মফিজুল ইসলাম আল আমিনকে স্যালুট জানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে লিখেন এরাই আমাদের মডেল, আইকন। তুমি বাবা চাঁদ নও, তুমি তো নক্ষত্র। দরিদ্র অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থীকে নিয়ে প্রকাশিত সংবাদটি পাঠকের মন জয় করে ।

এ প্রসঙ্গে আল আমিন বলেন, আমার বাবা-দাদা ভ্যান চালিয়ে আমার পড়াশোনার খরচ চালাতেন। এমন একটি পরিবার থেকে পড়াশোনা করা অনেক কষ্টসাধ্য ছিল। আমার ও আমার পরিবারের স্বপ্ন পূরণে যারা পাশে দাঁড়িয়েছেন, সহযোগিতায় করেছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতিও ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

গণমাধ্যমের প্রশংসা করে জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, গণমাধ্যম গণমানুষের পাশে দাঁড়ায় বলে আমরা আল আমিনদের পাশে দাঁড়াতে পারি। আল আমিন দেশের সম্পদ। টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসন সব সময় তার পাশে থাকবে।

উল্লেখ্য, আল আমিন সখীপুর উপজেলার কচুয়া গ্রামের আজিজুল মিয়ার ছেলে। সে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যলয়ে (বুয়েট) ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) বিভাগে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৮৭২তম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫তম, গুচ্ছতে ১০৭তম স্থান অধিকার করেন এ কৃতি শিক্ষার্থী ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *